Mid Day Meal : বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না দেখা শিক্ষকের কাজ? প্রশ্ন উঠছে স্যোসাল মিডিয়ায়
মিড ডে মিলের চালের ড্রামে ইঁদুর-টিকটিকি মেলায় সাসপেন্ড প্রধান শিক্ষক ও SI. । চালের ড্রাম থেকে মরা ইঁদুর এবং টিকটিকি উদ্ধারের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত বুধবার। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে।
এই নিয়ে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড ডে মিলের খাবারে গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরে তাঁরা স্কুলে গিয়ে দেখেন ড্রামের মধ্যে পড়ে রয়েছে মরা ইঁদুর এবং টিকটিকি।
চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত করে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুলসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর। একই সঙ্গে এক চুক্তি ভিত্তিক কর্মীকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
খাবারে ইঁদুর-টিকটিকি মিলতেই তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া। বিডিওর নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস এবং ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীর গাফিলতি খুজে পায়। এরপরে রিপোর্ট পাঠানো হয় শিক্ষা দফতরে। তারপরেই এই পদক্ষেপ।
আর এই পদক্ষেপের পরেই স্যোসালমিডিয়ায় নানান প্রতিবাদী পোস্ট ছড়িয়ে পড়ছে। রান্নার কাজ দেখার দায়িত্ব কি শিক্ষকের না SI এর। তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন রাঁধুনি দোষী নন সে প্রশ্নও করছেন অনেকেই।
শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেছেন- "বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না দেখা শিক্ষকের কাজ? শিক্ষক পড়াবে না রান্নার কাছে গিয়ে সারাক্ষণ বসে থাকবে? সমস্ত শিক্ষা বহির্ভূত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক শিক্ষকদের। মালদার ঘটনায় শিক্ষকের শাস্তির তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা। শিক্ষকদের দিয়ে অন্যান্য কাজ করিয়ে শিক্ষাদানের কাজকে তুচ্ছ করে তোলা হচ্ছে কেন? ধীরে ধীরে শিক্ষাকে গৌণ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই সত্যটা সবার বোঝা দরকার এবং সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হোক সর্বত্র।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊