Mid Day Meal : মালদা কান্ডের পর মিড ডে মিলের দায়িত্ব থেকে প্রধানশিক্ষকদের অব্যাহতি দেওয়ার দাবী জোড়ালো


Mid Day Meal



মিডডে মিল নিয়ে মালদার খরবা ২, সার্কেলের ঘটনায় S.I. ও শিক্ষকের শাস্তির তীব্র বিরোধিতা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে স্যোসাল মিডিয়ায়। এবার সাংগঠনিক ভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এগিয়ে আসছে একাধিক সংগঠন।

All India Ideal Teachers Association (AIITA) -WB এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে- "শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করিয়ে শিক্ষাদানের কাজকে তুচ্ছ করে তোলা হয়েছে ধীরে ধীরে। শিক্ষা অধিকার আইন-২০০৯ বা জাতীয় শিক্ষা নীতি -২০২২ কোনটাতেই মিডডে মিল, জুতো দান,টিকাদান এর মত কাজগুলোতে শিক্ষকদের দায়িত্বের বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা নেই। তারপরেও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প শিক্ষকদের দিয়ে বাস্তবায়ন করানো হচ্ছে। সেটা মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষকগণ তেমন কোনো আপত্তি না করে কাজগুলো সম্পাদন করে আসছেন। বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্নার পাশে সারাক্ষণ বসে থাকা শিক্ষকের পক্ষে কি সম্ভব? পড়ানোর কাজটা তাহলে কিভাবে হবে? একজন S.I., 'রান্নার কাজ যেন সতর্কতার সাথে করা হয়'- এটা বলে দেওয়া ছাড়া আর কি করার সুযোগ আছে তার? তাছাড়া এই এলাকায় এরকম ঘটনা কি বহুবার ঘটেছে ইতিপূর্বে? যার পরেওS.I. কোনো পদক্ষেপ নেয়নি; এরকম কি হয়েছে? তাছাড়াওসংশ্লিষ্ট s.I- এর এখানে কাজে যোগ দেওয়া কেবলমাত্র একসপ্তাহ হল, তাঁর এলাকার সবগুলো বিদ্যালয়ের নামই জানা হয়নি হয়তো। তারপরেও এমন সিদ্ধান্ত! ষড়যন্ত্রের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায়না৷

তাই এক্ষেত্রে যা হয়েছে তা অমানবিক তো বটেই, এটা আইনসম্মত কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারেনা। এখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষাকে গৌণ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই সত্যটা সবাইকে বুঝতে হবে এবং সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে হবে।"



সংগঠনের পক্ষথেকে দাবী -

১.সংশ্লিষ্টদপ্তর ও আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে বিষয়টি মানবিক ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণকরা হোক।

২.শিক্ষকদের সমস্ত শিক্ষাবহির্ভূত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

৩.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশকে উৎসাহিত করা হোক, গণবন্টন ব্যবস্থা রেশন দোকানে হোক।

৪. শিক্ষক ও শিক্ষার ময়দানের সর্বস্তরের আধিকারিকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখার বিষয়টি উৎসাহিত করা হোক।

STATE FORUM OF HEADMASTERS & HEADMISTRESSES -এর পক্ষ থেকেও ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষাদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় প্রধান শিক্ষকরা মিড-ডে মিল এর কাজ থেকে অব্যহতি চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে- আমরা আমাদের রাজ্যের এইচএমরা ভয় পাই বিশেষ করে যখন আমাদের স্কুলে বছরের পর বছর ধরে কোনো কর্মী নিয়োগ না করেই মিড-ডে-মিল চলছে। মিড-ডে-মিল ছাড়াও HOIS রাজ্যের আরও 17টি সামাজিক প্রকল্পের দেখাশোনা করে। তাছাড়া বিদ্যালয়ে মিড-ডে-মিল পরিচালনায় অন্যান্য কর্মচারী ও সহকারী শিক্ষকদের অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা ও বাধ্যবাধকতা নেই। এটাও উল্লেখ করা দরকার যে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বেশিরভাগ স্কুলে বদলির জন্য বা নিয়োগের অভাবে প্রয়োজনীয় কর্মী ও শিক্ষকের অভাব রয়েছে। একটি HOI এর প্রধান ফোকাস হল স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের নিজেদের কোনো দোষ ছাড়াই HOI-এর বিরুদ্ধে এই ধরনের কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কিত এবং এই পরিস্থিতিতে HOIS এখন থেকে মিড-ডে-মিলের বিষয়গুলি দেখাশোনা করবে না।'