'নোরা চেয়েছিল আমি জ্যাকুলিনকে ছেড়ে চলে যাই...', সুকেশ চন্দ্রশেখরের নতুন চিঠি নিয়ে তোলপাড়

Jacqueline Fernandez-Nora Fatehi


Jacqueline Fernandez-Nora Fatehi-Sukesh Chandra Shekhar: জেলবন্দী সুকেশ চন্দ্রশেখরের আরেকটি চিঠি সামনে এসেছে। এতে তিনি বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। চিঠিতে সুকেশ বলেছেন যে আমি এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেস দুজনেই গুরুতর সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু এই সম্পর্কের জন্য ঈর্ষান্বিত ছিলেন নোরা ফাতেহি। নোরা বরাবরই জ্যাকুলিনের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন। জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে সবসময় আমাকে ব্রেন ওয়াশ করত।




সুকেশ দাবি করেছেন যে নোরা ফাতেহি অর্থনৈতিক অপরাধ ব্যুরো (EOW)-এর সামনে তার বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন। সুকেশ আরও বলেন, নোরা চেয়েছিলেন আমি জ্যাকুলিনকে ছেড়ে যাই। আমি রাজি না হওয়ার পরও নোরা আমাকে হয়রানি করতে থাকে।

সুকেশ চিঠিতে আরও লিখেছেন- জ্যাকলিন এবং আমি সিরিয়াস সম্পর্কে ছিলাম। এই কারণেই জ্যাকুলিনকে ঈর্ষা করতেন নোরা। নোরা চেয়েছিল আমি জ্যাকুলিনকে ছেড়ে যাই। সুকেশ আরও লিখেছেন যে নিকি তাম্বোলি এবং চাহাত খান্না শুধুমাত্র পেশাদার সহযোগী ছিলেন এবং প্রযোজনায় কাজ করার কথা ছিল।

প্রসঙ্গত শনিবার দিল্লির একটি আদালত অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে নোরা ফাতেহির আবেদন স্থগিত করেছে। আসলে, সুকেশ চন্দ্রশেখরের 200 কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন নোরা ফাতেহি। তার দাবি, এই মামলায় তার নাম জোর করে টেনে আনা হয়েছে। শনিবার পাটিয়ালা হাউস আদালতে নোরার আবেদনের শুনানি হয়েছিল, যেহেতু বিচারক ছুটিতে ছিলেন, তাই বিষয়টি 25 মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। 13 জানুয়ারি, ফাতেহি মানি লন্ডারিং মামলার সাক্ষী হিসাবে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আকৃতি মহেন্দ্রুর উপস্থিতিতে ফাতেহির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW) ফার্নান্দেজকেও এই মামলায় তদন্ত করছে। এর আগে ইওডব্লিউ-তেও হাজির হয়েছিলেন ফাতেহি। ফাতেহি 12 ডিসেম্বর, 2022-এ অভিযোগ করেছিলেন যে ফার্নান্দেজ একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন।




নোরার বক্তব্য ছিলো- ফার্নান্দেজ অকারণে এই বিষয়ে আমাকে টেনে এনেছেন এবং অপমান করেছেন। যেহেতু আমরা একই ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছি, তাই তিনি খুব ভালো করেই জানেন যে কোনো শিল্পীর ব্যবসা এবং ক্যারিয়ার সম্পূর্ণভাবে তাদের খ্যাতির ওপর নির্ভরশীল। এটা স্পষ্ট যে উল্লিখিত অভিযোগটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে এবং এই ধরনের অভিযোগ অভিযোগকারীর সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ইডি 2 ডিসেম্বর 2022-এ এই বিষয়ে ফাতেহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। চন্দ্রশেখর বিভিন্ন মডেল এবং বলিউড সেলিব্রিটিদের জন্য প্রায় 20 কোটি টাকা খরচ করেছিলেন।