স্কুলের গণ্ডি না যেতেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড এ জায়গা পেলো কৃষিকা
স্কুলের গণ্ডি না যেতেই ১ থেকে ১০০ বাংলা ও ইংরেজি পড়া সহ ৬০ টি বাংলা ছড়া ঝরঝরে বলার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড এ জায়গা পেলো জলপাইগুড়ির সেবাগ্রামের খুদে কৃষিকা বসু৷
কৃষিকার বাবা পল্লব বসু ও মা অনিতা বসুর দাবি,' তার মেয়ের বয়স দু বছর ৮ মাস। ফলে তিন বছর না হওয়ায় প্রাক প্রাথমিকেও ভর্তি হয়নি৷ যদিও তার ঠাকুমার কাছে শিক্ষা শুরু করে। কিছু দিনের মধ্যেই বাংলা ও ইংরেজি ১-১০০ নম্বর মনে রেখেছে৷'
শুধু তাই নয় কৃষিকাকে ছড়া পড়ানো শুরু করতেই পরিবারের সদস্যদের অবাক করে দিয়েছে। খুব দ্রুত ছড়া মুখস্থ করতে পারে সে। দুই তিন মাসে ছড়ার বইয়ে থাকা ৬০ টি বাংলা ছড়ায় মুখস্থ করে ফেলেছে। আর মেয়ের এইদক্ষতা দেখে আর সেই দক্ষতাকে স্বীকৃতি দিতেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড এ গত বছর নভেম্বর মাসে আবেদন করে বাবা মা। তার এক মাস পড়েই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট ও মেডেল পাঠিয়ে দেয়। এতে খুবই খুশি কৃষিকার বাবা ও মা।
মা অনিতা বসু বলেন,'আমার মেয়ে এত ছোট্টতে এত সুন্দর ভাবে ছড়া ও বাংলা -ইংরেজির ১-১০০ নম্বর বলতে পারে তা আমাদেরও অবাক করে দিয়েছে। আমি চাই মেয়ে ভবিষ্যতে অনেক দূর এগিয়ে যাক।'
একই দাবি বাবা পল্লব কুমার বসুর। তার বক্তব্য, 'স্কুলে যাওয়ার আগেই আমার মায়ের কাছে শিখতে শুরু করেছে মেয়ে। এত তাড়াতাড়ি এত গুলো ছড়া ঝরঝরে বলতে পারে। তাই বন্ধুদের কাছে জেনে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড এ আবেদন করি। মেয়ের ট্যালেন্ট কে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা খুশি কারন স্কুলে যাওয়ার আগে এত বড় স্বীকৃতিতে মেয়ে আরও উৎসাহ পাবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊