দিনহাটা দুই নং ব্লকের বুড়ীর হাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পয়রা পদ্ধতিতে মটরশুঁটি চাষ
অরবিন্দ শর্মা,দিনহাটা
দিনহাটা দুই নং ব্লকের বুড়ীর হাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত বছরের ন্যায় পয়রা পদ্ধতিতে মটরশুঁটি চাষ করেছেন রাখাল বর্মন। ATMA(আত্মা)প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে এই কাজ চলছে। ADA সুভাষিস চক্রবর্তী বলেন, আমোন ধান কাটার ১৫—২০দিন আগে ধান জমিতে মটরশুঁটি বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়।ধান কাটতে হয় নাড়া বড়ো রেখে। এই নাড়ার উপর মটরশুঁটি গাছ আকরে ধরে রাখে।বিনা কর্ষনে এই চাষে একদিকে যেমন চাষের খরচ কম অন্য দিকে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাটির প্রকৃতি নষ্ট হয় না।
দিনহাটা দুই নং ব্লকের ADA সুভাষিস চক্রবর্তী, কৃষক বন্ধু সাধন রায় সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন এই কৃষি জমি পরি দর্শনে।কৃষক বন্ধু সাধন রায় বলেন কৃষকদের রাসায়নিক সার বর্জন করে জৈব সারের দিকে ঝুঁকতে হবে। কারন মাটির সাস্থ্য ভালো না থাকলে মানুষের সাস্থ্য ভালো থাকতে পারে না।যে জায়গার মাটি যত উর্বর সেই জায়গার কৃষক তত বেশি ধনী। পয়রা পদ্ধতিতে চাষ করলে জমির মধ্যে কার নাড়া পচে জৈব সার তৈরি হয়।তিনি নাড়া পোড়ার বিরোধিতা করে বলেন নাড়া পোড়ালে জমির ক্ষতি হয়,মাটিতে বসবাসকারী জীবাণু ধ্বংস হয়।ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়, সেই সাথে বাতাসে কার্বনডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ বেড়ে বাতাস দূষণ করে। কৃষক রাখাল বর্মন বলেন পয়রা পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষ খুবই লাভ জনক, তাই আমি বলবো অনান্য কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করুক।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊