পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত ভােটকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ভােটের কাজ বয়কটের ডাক !
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত ভােটকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভােটকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে।
একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে স্মারকলিপি দেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত না থাকায় ডেপুটেশন নিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন দপ্তরের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি তানভীর আফজল।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের মূল দাবী গুলির মধ্যে অন্যতম হলো-
- আগামী পঞ্চায়েত ভোটে ভোট কর্মীদের সুনিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি বুথে ৬ জন করে এবং উত্তেজনা প্রবণ বুথে ডিসাইটিং অফিসারের সাথে দ্বিগুণ সংখ্যায় সেন্ট্রাল ফোর্স দিতে হবে।
- ভোট কর্মীদের পোস্টাল ব্যালট তাঁর নিজের নির্বাচনী বুথের সমস্ত ব্যালট পেপারের সঙ্গে মিশিয়ে গণনা করতে হবে। কোনমতেই ভোট কর্মীদের ভোট দানের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার হরণ করা চলবে না।
- রিলিভারের জন্য প্রতিটি বুথে একজন করে অতিরিক্ত ভোট কর্মী দিতে হবে।
- শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ভোট কর্মী হিসেবে তাঁদের নামে কোন চিঠি পাঠানো চলবে না।
- ডিউটি থাকা অবস্থায় হিংসাত্মক কোন ঘটনায় ভোট কর্মীর মৃত্যু হলে ৫০ লক্ষ টাকা আর সাধারণ মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ টাকা তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে এবং পরিবারের একজনকে চাকুরি দিতে হবে।
- পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত পক্ষকে নিয়ে আলোচনার সময় ভোট কর্মীদের সংগঠন হিসাবে সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য সেই সভাগুলিতে আমাদের আহ্বান জানাতে হবে।
- ভোট গ্রহণের জন্য ভোট কর্মীদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত তাঁর জীবনের সমস্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।
- প্রতিটি বুথে পুরুষ এবং মহিলা ভোট কর্মীদের থাকা, খাওয়া ও সঠিকভাবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনার উপযুক্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- প্রিজাইডিং অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তৎক্ষণাৎ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- ভোটিং মেটেরিয়ালস জমা দেওয়ার পর বাড়ি ফেরার জন্য উপযুক্ত যানবাহন যথেষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে।
- প্রতিটি বুথে আগে থেকেই ভোটিং মেটেরিয়ালস পৌঁছে দিতে হবে এবং ভোট শেষ হলে সেখান থেকেই তা গ্রহণ করতে হবে।
এই মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “তিনি সমস্ত দাবি গুলি শুনেছেন এবং আমাদের দাবি পত্র রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নিকট গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবেন। আমরা দাবি জানিয়েছি পঞ্চায়েত ভোট এখনো অনেকটা দেরি। তার আগে আমাদের এই দাবিগুলি সম্পর্কে কমিশনের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাই। তিনি সবটাই কমিশনারের নিকট রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"
তিনি আরও জানিয়েছেন- "ভােটের কাজে বাড়ি থেকে বেরােনাে থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত তাঁদের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন না মানলে শিক্ষকেরা ভােটের কাজ বয়কটের ডাক দেবেন।”
আজকের ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি বিশ্বজিৎ মিত্র, রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক অরূপ কুমার দে, দক্ষিণ 24 পরগনার জেলা সম্পাদক তমাল মন্ডল। এ ছাড়া অন্যতম সংগঠক রাজু ছেত্রী, সুশোভন মুখার্জি, মনিকা বিশ্বাস প্রমুখ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊