Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

শিলিগুড়ি করিডোরে S-400 ও ব্রহ্মস মোতায়েন, বঙ্গোপসাগরে নৌসেনার মহড়া

ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশল আরও শক্তিশালী, সীমান্ত ও সমুদ্র দু’মুখে নজরদারি বাড়ানো হলো


Siliguri Corridor, Chicken Neck, S-400 deployment, BrahMos missile, Indian Navy, Bay of Bengal, NOTAM, military bases, India defense strategy, Indo-Pacific security



ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জীবনরেখা হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোরে সামরিক শক্তি বাড়াতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত এই করিডোরকে রক্ষা করতে রাশিয়ান নির্মিত অত্যাধুনিক S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে।

এই ব্যবস্থা একসঙ্গে একাধিক শত্রু বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম, যা ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস স্থাপন করা হয়েছে, যা স্থল, সমুদ্র ও আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য এবং দ্রুত প্রতিশোধমূলক হামলার ক্ষমতা রাখে। করিডোরে তিনটি নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি হয়েছে, যেখানে স্থায়ীভাবে সেনা ও অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে শিলিগুড়ি করিডোর কার্যত এক দুর্গে পরিণত হচ্ছে।

অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় নৌসেনা বিশাল মহড়া শুরু করেছে। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে "নোটাম" বা Notice to Airmen জারি করা হয়েছে, যার অর্থ ওই অঞ্চলে বিমান চলাচল সীমিত থাকবে। সাধারণত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বা বড় নৌ মহড়ার সময় এ ধরনের নোটিশ জারি করা হয়। এই পদক্ষেপকে শুধু প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রদর্শন নয়, বরং প্রতিবেশী দেশগুলিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে যে ভারত বঙ্গোপসাগরে তার আধিপত্য বজায় রাখতে প্রস্তুত।

এই সামরিক তৎপরতা ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। শিলিগুড়ি করিডোরে মোতায়েন উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি, কারণ এই করিডোর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ভারতের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে মহড়া ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে জোরদার করছে, যেখানে নৌসেনা চীনের উপস্থিতিকে প্রতিহত করতে চায়। সব মিলিয়ে স্থল ও সমুদ্র—দুই ক্ষেত্রেই ভারত তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শন করছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code