চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ানোর ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ ! 

police lady



অবশেষে নড়েচড়ে বসলো লালবাজার। গত বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টেট উত্তীর্ণরা। এই সময় চাকরীপ্রার্থীদের সাথে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এমন সময় অরুনিমা পাল নামের এক চাকরিপ্রার্থীকে ইভা থাপা নামের এক মহিলা পুলিশ কর্মী হাতে কামড়ে দেন। যে ভিডিও ইতিমধ্যে স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।


লালবাজার এবার এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলো। ডেপুটি কমিশনার সাউথ (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবেন।


কেন পুলিশকর্মী হঠাৎই চাকরীপ্রার্থীকে কামড়ে দিলেন ? কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটলো। চাকরীপ্রার্থী কি কোনভাবে প্ররোচনা দিয়েছেন কিনা ? দিলে তা কি রকম- এই ধরণের নানান প্রশ্নের উত্তর জানতে পুলিশকর্মী ইভা থাপার সঙ্গে কথা বলবেন ডেপুটি কমিশনার সাউথ (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বলে জানা যাচ্ছে।


এদিকে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিরোধিদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য। যদিও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্ররোচনা দিলে অনেক কিছুই হতে পারে।” অর্থাৎ অভিযুক্ত পুলিশের আচরণের পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি।


এ বিষয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যা হয়েছে ঠিক হয়নি। পুলিশের কোড অফ কন্ডাক্টে এটা করা যায় না। তবে কী হয়েছে, সেই তদন্ত হচ্ছে।” বিরোধীরা আন্দোলনকারীদের উসকানি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


বিধায়ক অজিত মাইতিও সমর্থন করেন ওই পুলিশকর্মীকে। তিনি বলেন, “জোর করে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দিনের পর দিন পুলিশের উপর হুজ্জুতি চলছে। কেউ যদি পুলিশকে কামড়ে দেয়, তাহলে পুলিশ কি রসগোল্লা ছুঁড়বে?”


অপরদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ঘুরিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন তাঁকেও কামড়ানোর জন্য পুলিশকর্মীদের পাঠানো হয়েছিল। তিনি সেটা হতে দেননি।