ডিসেম্বরের শীত নয়, উত্তরবঙ্গের পরিবর্তন নিয়েই আলোচনা সর্বত্র 

north bengal



North Bengal : এবার ডিসেম্বর মাসের শীত নিয়ে নয়, উত্তরবঙ্গের ভবিষ্যত ভৌগোলিক অবস্থান নিয়েই আলোচনায় ব্যাস্ত চায়ের ঠেক থেকে বাজার ও রাজনৈতিক দল গুলোর অফিস। ছোটো জেলা হলে যদি ভালো হয়, তাহলে ছোটো রাজ্যে নিশ্চই ভালো হবে, দৃঢ বিশ্বাস সাধারণ মানুষের একাংশের।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে, দেশ তথা উত্তরবঙ্গবাসী দেখেছে চিন ভারতের যুদ্ধ, সাক্ষী থেকেছে ভারতের সাহায্যে পাকিস্তানকে পরাজিত করে জন্ম নেওয়া স্বাধীন বাংলাদেশ। তবে এতো কিছুর পরেও তিনটি আন্তর্জাতিক সীমানায় ঘেরা উত্তরবঙ্গ যেনো থেকে গিয়েছে গুরুত্বহীন ভাবেই।

সময়ের সাথে যেমন গড়ে ওঠেনি ভারী শিল্প, পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সেই বিখ্যাত চা, হারিয়েছে পূর্বের সুগন্ধ, বেহিসাবী বন ধ্বংসের ফলে কাঠও আজ নাবালক,পর্যটন আজও যেনো প্রকৃত যোগাযোগ ব্যাবস্থার দুর্বলতায় অনেকটাই ব্যাকফুটে।

এই সব মিলিয়েই কি উত্তরবঙ্গ বাসির মনে উঁকি দিয়েছে পৃথক কোনো মানচিত্র?

এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর নাকি মিলবে ডিসেম্বর মাসে, এমনই এক বহমান আলোচনায় বর্তমানে মশগুল, অফিস পাড়া থেকে চায়ের ঠেক এবং রাজনৈতিক দল গুলোর কার্যালয়।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ জানান, উত্তরবঙ্গ নতুন কোনো পরিচয় পাক, এটা বিজেপির দাবী নয়, এটি উত্তরবঙ্গবাসীর দাবী, আমাদের দলের প্রার্থীদের গণদেবতা নির্বাচনে জয়ী করেছে, সুতরাং জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ মানুষের দাবীকে সন্মান জানানো বা সেটির পক্ষে বলা এটাই স্বাভাবিক।

যদিও উত্তরবঙ্গ কে পৃথক করার দাবীকে কংগ্রেস সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করলেও,জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গ যে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করার পরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাকফুটে সেটি বলতে দ্বিধা করেন নি জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত।

তিনি এক প্রকার ঘুরিয়ে জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গবাসির বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কর্মসংস্থানের এবং চিকিৎসার ব্যাবস্থার ভবিষ্যত নিয়ে আমজনতার মনে ঘুরপাক খাওয়া দাবী গুলোকেই সর্মথন করে বলেন, জাতীয় কংগ্রেস বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।

তবে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের সাধারণ জনতা যে ডিসেম্বর মাসে কিছু একটা হবে ভেবেই ক্ষান্ত তা নয়,সাধারণ জনতা সবজি বিক্রেতা শ্যামল তরফদার তো আসন্ন পরিবর্তনের পক্ষে রীতিমতো শক্তপোক্ত যুক্তিও দেখিয়ে দিলেন। শ্যামল বাবুর যুক্তি, যদি বড় জেলাকে ভেঙে ছোটো জেলা করলে জনগণের সুবিধা হয়, তাহলে বড় রাজ্যেকে ছোটো করলে ও তো জনগণের সুবিধেই হবে।

যদিও এই হাওয়ায় ভেসে চলা ডিসেম্বর প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, কোনো বঙ্গ ভঙ্গ হবে না, যারা এটা বলছে তারা সংবিধান পড়ে নিক আগে।