SSC Recruitment: অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে, আদালতে দাবি শিক্ষাসচিবের


highcourt



'কার নির্দেশে অবৈধদের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য আবেদন কমিশনের?' নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অতিরিক্ত শূন্যপদ (additional vacant posts) তৈরি হয় শিক্ষামন্ত্রী (Education minister) ব্রাত্য বসুর (bratya basu) নির্দেশে, বিচারপতি (justice abhijit ganguli) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানালেন শিক্ষাসচিব (education Secretary)। 



বিচাপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। ‘কমিশনকে সামনে রেখে কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগ? কে করল বেনামি আবেদন? বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে কোনও লিখিত প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। উত্তর না পেয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।




‘আইনে সংস্থান নেই, তবু কীভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত? রাজ্য মন্ত্রিসভার অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্তে আমি বিস্মিত! আপনি কি জানেন, কমিশনের আইন অনুযায়ী বেআইনি নিয়োগ করা যায় না? তার পরেও কেন তৈরি করা হল বেআইনি শূন্যপদ?’, শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।



শিক্ষাসচিব এও বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ এসেছিল।' তাঁর দাবি, শিক্ষামন্ত্রী আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলে, আইন দফতর ও এজি-র সঙ্গেও কথা বলা হয় বলে জানান মণীশ জৈন। এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। শিক্ষাসচিবের দাবি, ‘মুখ্যসচিবকে জানিয়ে ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়।’ 



বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা প্রশ্ন, ‘অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা? ‘আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্যই এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল?’ বলেন, ‘আমি বিস্মিত যে কী ভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? মন্ত্রিসভাকে বলতে হবে যে তাঁরা অযোগ্য়দের পাশে নেই।' 


১৯ মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে বলেও জানান। হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, এমন পদক্ষেপ করা হবে যা গোটা দেশে কখনও করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মন্তব্য, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি।' সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সকলকে এসে উত্তর দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য বলব। দল হিসেবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছে করা যায় না।’