বিদেশে প্রধানমন্ত্রী ঋষি, সাংসদে নেই মুসলিম সদস্য, বিজেপিকে নিশানা বিরোধীদের 

RISHI



ঋষি সুনক, ইউকে-এর নতুন প্রধানমন্ত্রী। যার যোগ রয়েছে ভারতেও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের হাতে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাশ। আর এই খবরে কার্যত দিওয়ালির উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুন আনন্দে মাতিয়েছে ভারতীয়দের। এর মাঝেই রাজনৈতিক নিশানাও অব্যাহত। ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে, বিজেপি-কে (BJP) নিশানা করেছে তৃণমূল (TMC) ও কংগ্রেস (Congress)। তাদের প্রশ্ন, বিজেপি কি কোনও সংখ্যালঘুকে ক্ষমতার সর্বোচ্চ পদে বসাতে পারবে? এপিজে আব্দুল কালাম, মনমোহন সিং কে উল্লেখ করে পাল্টাও দিচ্ছে বিজেপি।




ভারতীয় বংশোদ্ভূতর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে, বিজেপি-কে নিশানা করেছে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "ইংল্যান্ড একজন হিন্দু, লাল চামড়ার নয়, এমনকে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু এখানে সংসদে বিজেপি-র তরফে মুসলিম সদস্য নেই একজনও। শিখ প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। মুসলিম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন । আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতার প্রধান জায়গায় একজন মুসলিম নেই। বিজেপি-র শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, জাত, ধর্ম নয়, যোগ্যতা দেশ চালানোর শেষ কথা। এখানে তো বিজেপি-র কোন মুসলিম সাংসদ নেই। এটা একটা সংকীর্ণতা। এমনকি সনিয়া গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছিলেন, তখন সুষমা স্বরাজ, উমা ভারতীরা বলেছিলেন উনি প্রধানমন্ত্রী হলে মাথা মুড়িয়ে নেবেন।"



শুধু তৃণমূল নয় বিজেপিকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরম ট্যুইট করে বলেছেন, 'প্রথমে কমলা হ্যারিস, এবার ঋষি সুনক। সংখ্যাগরিষ্ঠ নন, এমন মানুষদেরও আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের নাগরিকরা আপন করে নিয়েছেন, এবং সরকারের উঁচু পদে বসিয়েছেন। আমার মনে হয়, ভারত এবং যেসমস্ত দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর দেখায়, তাদের এর থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত'।



পাল্টা দিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ ট্যুইট করেছেন, 'ঋষি সুনক ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর, কিছু নেতা সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছেন। বিনীতভাবে তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই, এপিজে আব্দুল কালাম এদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। মনমোহন সিংহ ১০ বছর প্রধানন্ত্রী ছিলেন। দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী'।



কংগ্রেস শশী থারুরও ট্যুইটে লেখেন, 'আমাদের এটা স্বীকার করে নেওয়া উচিত, যে ব্রিটেনের নাগরিকরা যেভাবে একজন সংখ্যালঘুকে সবচেয়ে শক্তিশালী চেয়ারে বসিয়েছেন, সেটা গোটা বিশ্বে বিরল। ভারতীয়রা যখন ঋষি সুনকের জয় উদযাপন করছে, তখন একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, এখানে কি এমনটা হতে পারে'?


ঋষি সুনক, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলগুলি নিশানা করছে বিজেপিকে। যদিও নেতাদের বক্তব্যের দায় দল নেইনি।