Malbazar River Accident : মালবাজারের দূর্ঘটনা, মৃত ৮,  সিভিল ডিফিন্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন  

 
Malbazar River Accident



দুর্গা পুজোর নিরঞ্জনে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গতকাল রাত্রে। জলপাইগুড়ির মাল নদিতে (malbazar) আচমকাই হড়পা বান চলে আসে বিসর্জনের মুহূর্তে। আর সেই হড়পা বানে ভেসে গেলেন ভাসানে আসা অনেকেই। এপর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে ১টি শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। 

দূর্ঘটনার পরই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। সিভিল ডিফিন্সের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন বিসর্জনের ঘাটে দূর্যোগ মোকাবিলা করবার মতন সামগ্রী রাখা হয়নি তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে সিভিল ডিফেন্স আধিকারিক স্বীকার করেছেন  দূর্যোগ মোকাবিলা করবার মতন সামগ্রী বিসর্জন ঘাটে ছিলো না। দূর্ঘটনার পর দূর্যোগ মোকাবিলা করবার মতন সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। 

তবে দূর্ঘটনার সাথে সাথে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা শুধুমাত্র নিজেদের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়ে। 

ইতিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা হলেন-
তপন অধিকারী ৭২
উর্মি সাহা ১৩ 
রুমুর সাহা ৪২
আনস পন্ডিত ৮
বিভা দেবী ২৮
শুভাশিস রাহা ৬৩
সুস্মিতা পোদ্দার ২২
সন্দলাল অধিকারী ২০

জানা গেছে, নদীর পাড় থেকে নদীগর্ভে অনেকটাই নেমে প্রতিমা বিসর্জন করছিলেন মানুষজন। সেইসময় আচমকাই আসে হড়পা বান। আর এই হড়পা বানের জেরে ঘটে বিপত্তি। জলে তোড়ে ভেসে যান অনেকেই। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জলের তোড়ের সঙ্গে পেরে উঠছেন না।


মালবাজার (malbazar) হাসপাতালে কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। নদীর জল ক্রমশ বাড়ছে। আপাতত বিসর্জন বন্ধ রাখা হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক জানিয়েছেন ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।





কয়েকদিন পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ার ফলেই আচমকা এই জলস্ফীতি বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে বিসর্জন চলাকালীন আচমকাই চলে আসে হড়পা বান। কোনোরকম সতর্ক হওয়ার উপায় ছিল না। বিসর্জনে আসা ট্রাকের উপর দিয়ে জলের তোড় দেখা যায়। ভেসে গিয়েছে গাড়িতে থাকা মানুষজনও।


জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই মাল নদীর প্রতিটি ঘাটে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে যাতে মানুষজন বিসর্জন দিতে নদীতে নামতে না পারে। উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা।ওদলাবাড়ি থেকে এনডিআরএফের টিম এসে নদীতে আলো জ্বালিয়ে উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন। আজ সকালেও চলছে উদ্ধার কাজ।