কাজের খোঁজে বাংলাদেশের ছেলে পাড়ি দিয়েছিলেন মিশর


মিশরের মেয়ে
ছবি সৌজন্যে - স্যোসাল মিডিয়া 



কাজের খোঁজে বাংলাদেশের ছেলে পাড়ি দিয়েছিলেন মিশর। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ডালিয়ার। দীর্ঘ কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকবার পর এবার বাংলাদেশে এলেন মিশরের মেয়ে ডালিয়া। ডালিয়া এখন বাংলাদেশের নোয়াখালির বধূ। 


নোয়াখালীতে এসে সংসার শুরু করেছেন স্বামী গোলাম সারোয়ার বাবুর সঙ্গে। এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের উপচে পড়া ভীড়।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই দম্পতি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালের মিশরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তারা বাংলাদেশে আসেন।

মিশরের মেয়ে
ছবি সৌজন্যে - স্যোসাল মিডিয়া

গোলাম সারোয়ার বাবু বলেন, আমি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিশর যাই। সেখানে একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি নেই। ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতাম আমি। ওর ভাইয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবাদে মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল।

এক সময় ডালিয়াকে ভালো লাগার বিষয়টি জানাই। এতে ডালিয়া সম্মতি দিলে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন কানুন মেনে মিশরে তাকে আমি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করি।

এরপর এই প্রথম দুইজনের একসঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি। বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি।

মিশরীয় তরুণী ডালিয়া বাংলা বলতে না পারলেও মিশরী ভাষায় সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিশরী ভাষা বাংলা অনুবাদ করে তার স্বামী বাবু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবাসেন।  তবে কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুরবাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।