Netaji : 'গুমনামি বাবা'র DNA রিপোর্ট দিতে অস্বীকার, নেতাজি ও গুমনামি বাবার হাতের লেখা একই ব্যক্তির !
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর 'মৃত্যু' নিয়ে আজও রহস্য রয়ে গেছে। কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে তিনি জাপানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান, আবার কেউ বিশ্বাস করেন যে উত্তর প্রদেশের 'গুমনামি বাবা' ছিলেন নেতাজি। যদিও, এই দাবিগুলি কতটা সত্য তা কেউ জানে না, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু হওয়ার গুমনামি বাবার দাবিকে আরও জোরদার করেছে।
আসলে, সরকার পরিচালিত সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি গুমনামি বাবার ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। আসলে এই তথ্য হুগলির একজন গবেষণা ছাত্র সায়ক সেন RTI-এর অধীনে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি 24 সেপ্টেম্বর, 2022-এ আরটিআই দায়ের করেছিলেন।
মিডিয়ার সাথে আলাপকালে সায়ক বলেন, ল্যাব তার আরটিআই প্রত্যাখ্যান করার জন্য তিনটি কারণ দিয়েছে। উদ্ধৃত প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল গুমনামি বাবার ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট প্রকাশ করা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং বিদেশী রাষ্ট্রগুলির সাথে তার সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।
এছাড়াও, সেন তার আরটিআই-এ আরও জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কেন উত্তর প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী একজন ব্যক্তি ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ এবং তার ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হলে কীভাবে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হবে।
এদিকে আরও এক চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। সংবাদ প্রতিদিন সূত্রে জানা যাচ্ছে- নেতাজি ও গুমনামি বাবার দু’টি চিঠি আলাদাভাবে দেখে একই ব্যক্তির বলে প্রাথমিকভাবে সম্মতি জানালেন বিশ্বের অন্যতম সেরা হাতের লেখা বিশেষজ্ঞ কার্ট ব্যাগেট। আর এটাও বুঝিয়ে দিলেন, পার্কিনসন রোগে জটিলভাবে না ভুগলে মৃত্যু পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির হাতের লেখার ধরন বদলায় না। সেই প্রেক্ষিতেই নেতাজি ও ফৈজাবাদের সাধু ভগবানজি অর্থাৎ গুমনামি বাবা একই ব্যক্তি কি না, রহস্যভেদে নতুন মাত্রা পেল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊