উত্তরবঙ্গের ২০০ জন, বর্ধমানের ১৬৫ জন, বাঁকু়ড়া জেলার ৫৫ জন শিক্ষককে এই শোকজ নোটিস
ইতিমধ্যে প্রাইভেট টিউশন (Privet Tuition) নিয়ে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা স্বাক্ষর করা হয়েছে যে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনে যুক্ত নন, আর এই দায়িত্ব দেওয়া ছিলো প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের। তবুও বেহাল তবিয়তে একাধিক শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন বলে রাজ্যজুড়ে অভিযোগ ।
সরকারি নির্দেশকে অমান্য করে ছাত্র–ছাত্রীদের পড়ানোর অভিযোগ উঠছে শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে। এবার প্রাইভেট টিউশনি করার অভিযোগে চারশোর বেশি স্কুলশিক্ষককের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন।
বুধবার জেলা শিক্ষা আধিকারিকের দফতর থেকে শো'কজ লেটার পাঠানো হয়েছে। কিছুদিন আগেই জেলাভিত্তিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের নাম দিয়ে তালিকা প্রকাশ করা শুরু করে শিক্ষা দফতর। এবার তাঁদের ধরানো হল শোকজ লেটার।
শোকজের চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি স্কুলে চাকরি করা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত টিউশন পড়িয়ে শিক্ষার অধিকার আইন ভঙ্গ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের এ বিষয়ে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের ২০০ জন, বর্ধমানের ১৬৫ জন শিক্ষককেও এই অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে শিক্ষা দফতর। বুধবার বাঁকু়ড়া জেলার ৫৫ জন শিক্ষককে এই শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে।
চলতি বছর জুন মাসের ২৭ তারিখে এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা দফতর। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা আর গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। এমনকি, যুক্ত থাকতে পারবেন না কোনও রকম কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে কর্মরত কোনও শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা বা কোনও রকম কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এমনকি বিনা পারিশ্রমিকে কোথাও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতেও পারবেন না।
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা থেকে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা নিয়ে নানা অভিযোগ আসছিল। তারই ফলশ্রুতিতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে শিক্ষা দফতর।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊