আবার টাকার পাহাড় উদ্ধার রাজ্যে! টাকা তুলতে নিয়ে আসা হল ট্রাক



প্রতীকি ছবি



ফের কলকাতায় ইডি-র হানা। শুক্রবার প্রতারণা নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (nirmala sitharaman)। সেই বৈঠকে একটি ত্রিস্তরীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমত, ইডি অভিযান চালাবে। দ্বিতীয়ত, যাদের জড়িত পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃতীয়ত, এগুলি কীভাবে বন্ধ করা যায় । আর তারপরই ইডির অভিযানে এই বড়সড় সাফল্য এলো।


শনিবার সাতসকালে কলকাতার তিনটি জায়গায় জায়গায় একযোগে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (The Directorate of Enforcement)। তিন জায়গায় একযোগে হানা ইডির (The Directorate of Enforcement) অফিসারদের। 

গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে মিলল টাকার পাহাড়। খাটের তলায় লুকিয়ে রাখাছিল বান্ডিল-বান্ডিল ৫০০ ও ২ হাজারের টাকার নোট। অতর্কিতে হানায় মিলেছে বিপুল পরিমাণ টাকা। এরই পাশাপাশি এদিন মোমিনপুর ও পার্ক স্ট্রিটের কাছে ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি আবাসনেও হানা দেয় ইডি (The Directorate of Enforcement)


পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি আবাসন ছাড়াও গার্ডেনরিচ ও মোমিনপুরের আরও দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযানে যায় ইডির (ED) পৃথক দল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়েই সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একযোগে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় ইডি আধিকারিকদের।



ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির দু’তলার একটি ঘরে খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয় কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা। ৫০০ ও ২ হাজারের বান্ডিল-বান্ডিল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ৮টি টাকা গোনার মেশিন আনা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা গোনা হয়েছে বলে জানা যায়। 

মোবাইল গেমিং অ্যাপে প্রতারণা করেই কোটি-কোটি টাকা লুঠ বলে মনে করচে ইডি। ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডির আধিকারিকরা।

এছাড়াও এদিন মোমিনপুরেও আরও এক ব্যবসায়ী শাহরিয়র আলির ভাড়াবাড়িতে হানা দেয় ইডি। তবে ওই ব্যবসায়ী সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান। 

অন্যদিকে, এদিন পার্ক স্ট্রিটর কাছে ম্যাকলয়েড স্ট্রিটেও এক আইনজীবীর বাড়িতে হানা দেন ইডির অফিসাররা। অভিজাত ওই আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে গিয়ে ওই আইবনজীবীকে এদিন দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির আধিকারিকরা। 

তবে এদিন একযোগে এই তিন তল্লাশি অভিযানের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়নি। তবে আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।