গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দুর্দশা, রাজ‍্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করতে চায় কেন্দ্র, অভিযোগ প্রধানের


Debshala GP




সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে একশো দিনের কাজ বন্ধ করে রাজ্যের উন্নয়ন কে স্তব্দ করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।এমন- ই অভিযোগ দেবশালা গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল কুমার বক্সীর।




গোটা পশ্চিম বাংলায় প্রায় 3242টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের 100 দিনের প্রকল্পের কাজ বন্ধো করে দিলো কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আর এই একশো দিনের কাজ বন্ধ করার কারনে যেমন স্তব্দ হয়েগেছে বাংলার উন্নয়ন তেমন চরম সমস্যায় পরেছেন গ্ৰাম বাংলার একশো দিনের প্রকল্পের জবকার্ড ধারীরা।গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আউষ গ্রাম 2 পঞ্চায়েত সমিতির দেবসালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল কুমার বক্সী বলেন কেন্দ্র সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে এই একশো দিনের কাজ বন্ধ করে রেখেছে।একশো দিনের জবকার্ড ধারিদের বকেয়া টাকা দিচ্ছেনা।যার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন দেবশালা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪২শো জব কার্ড ধারীরা।প্রধান বলেন পঞ্চায়েতের 14 টি সংসদে প্রায় 70% রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।




2011 সালের তালিকা অনুযায়ী 1667টি ঘরের মধ্যে ১৬৪৪টি ঘর নির্মাণ হয়েছে।নতুন তালিকা অনুযায়ী বেশ কিছু ঘর নির্মাণ করা দরকার কিন্তু কেন্দ্র সরকার অসহযোগিতার কারণে বাংলা আবাস যোজনায় কোনো নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে না।পঞ্চায়েতের ১৪ টি সংসদে প্রায় ৯০ শতাংশ শৌচাগার হয়েছে। তার মধ্যে এখোনো বেশ কিছু শৌচাগারের প্রয়োজন আছে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান।বৃদ্ধ ভাতা,বাদ্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা,কৃষান ভাতা প্রদান করা হয় বলে প্রধান সাহেব বলেন।




এদিকে মৌকোটা এলাকায় বেশ কিছু গরিব মানুষ সরকারী প্রকল্পে বাড়ি না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।নিজের ভাঙ্গা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে মেয়ের বাড়িতে।এমনি কথা জানান মৌকোটা এলাকার বাসিন্দা পাচু বাগদি। পাচু বাবু বলেন এই বর্ষায় আমার মাটির ঘড় ভেঙ্গে পরেছে।বাধ্য হয়ে এখন মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ব্লকের কিছু মহিলা কর্মীদের কারনে আমার বিদ্ধ ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।পাচ মাস ধরে ভাতা না পেয়ে চরম সমস্যায় পরতে হচ্ছে।




কাঁকড়া এলাকার বাসিন্দা শেখ আইয়ুব হোসেন বলেন এগারো সালের তালিকা গরমিল থাকার ফলে অনেক গরিব মানুষ বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর পেতে সমস্যা হচ্ছে।এলাকায় অধিকাংশ উন্নয়ন হলেও এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু কাজ বাকি আছে।



ঝিজড়ার বাসিন্দা উদয় বাউরি বলেন অনেক জায়গাতেই নতুন রাস্তা ঘাট হয়েছে।আদিবাসী পাড়া এবং রুইদাস পাড়ায় রাস্তার কাজ এখোনো বাকি আছে। চাষের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ও জলের সমস্যা আছে বলে তিনি জানান।



ভাতকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা মিরমান্নান আলী বলেন এই এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে প্রতিদিন দু থেকে তিনশো রোগীর আসা যাওয়া আছে। চিকিৎসা ভালো হলেও ওষুধের বড়ো সমস্যা। ওষুধ ঠিকমতো না পাওয়া অন্যত্র যেতে হচ্ছে রোগীদের।