Abu Hena Rony : মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মিরাক্কেল খ্যাত বাংলাদেশের আবু হেনা রনি

Abu Hena Rony





ঢাকার গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চার বছরপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি দগ্ধ হয়েছেন।



এ সময় তিনি ছাড়াও আরও চারজন দগ্ধ হয়েছেন। রনি সহ তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।


রনির শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শুক্রবার সন্ধেয় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর রাত ১০টার দিকে তাঁদের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।


বাংলাদেশের প্রথম আলো সংবাদ পোর্টালে প্রকাশিত খবর অনুসারে- "গাজীপুরে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি শঙ্কামুক্ত নন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন প্রথম আলোকে আজ শনিবার এ কথা জানিয়েছেন।"


কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির ম্যানেজার সাদিক আল হাসান জানান, গাজিপুর মেট্রোপলিটনের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন রনি। সেখানে গ্যাস বেলুন থেকে একটি বিস্ফোরণ হয়। তখন পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা রনি সহ আরও কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল দগ্ধ হয়েছেন। রনি ও কনস্টবল জিল্লুরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।


শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাঃ এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, রনির শরীর ২৪ শতাংশ ও জিল্লুর রহমানের আনুমানিক ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও পোড়ার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এ জন্য তাঁদের ভর্তি রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।


জিএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বলেন, মঞ্চের পূর্ব দিকে ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন রাখা ছিল। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো ওড়াতে ব্যর্থ হন। কোনও ত্রুটির কারণে হয়তো বেলুনগুলো তিনি ওড়াতে পারেননি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। এরপর বেলুনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে সব বেলুনই বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে রনি সহ কয়েকজন আহত হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত আহতদের গাজিপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠান। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।