চাকরীর থেকে চপ মুড়ি তেলে ভাজা বিক্রি বেশি সম্মানের ! তৃণমূল বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক

তৃণমূল বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক 


manoranjana-byapari-tmc-leader



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার নানান ব্যবসা বানিজ্যের কথা জানিয়েছেন। কখনো পোল্টি ফার্ম তো কখনো চপ ভাজার কারবারের কথা। গত বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে 'উৎকর্ষ বাংলা'র (Utkarsh Bangla Scheme) অনুষ্ঠানেও একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় ফোটা কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে লেপ, বালিশ তৈরি হতে পারে। চা-বিস্কুট, ঘুগনি, তেলেভাজার ব্যবসা করুন, পুজো আসছে, দিয়ে কুলোতে পারবেন না। খেটে খেতে হবে, শরীরের নাম মহাশয়।’


খড়গপুরে ওই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার এই কথা শুনে অনেকেই টোন-টিটকিরি দেন। আমি বলতাম, আপনার কাছে টাকা নেই। আপনি এক হাজার টাকা নিন, এক হাজার টাকা নিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আস্তে আস্তে বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন, তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, মা একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আরেকটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে, দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। আজকাল এত বিক্রি আছে। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। যত মানুষ আজ মাটি থেকে উঠে বড় হয়েছে, এটাই তাঁদের কাহিনি। এটাই তাঁদের গর্ব।"


আর এই বক্তব্য স্যোসাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়। এককথায় ভাইরাল হয়ে যায় এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। আর তার পরই দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী আজ এক মন্তব্য করেন চাকুরী বিষয়ে। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন- "যারা প্রচুর পড়াশোনা করে অধিক রোজগারের জন্য চাকরবৃত্তিকেই জীবনের পরমার্থ মনে করে তার চাইতে যে লোকটি স্বাধীন ভাবে চপ মুড়ি তেলে ভাজা বিক্রি করে সামান্য রোজগার করে সৎভাবে জীবন যাপন করে তার সন্মান অনেক বেশি বলে আমি মনে করি।"


এরপরই কমেন্ট বক্স জুড়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। কেউ বলেন- " অন্ধভাবে সবকিছু সমর্থন করতে গিয়ে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছেন। আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি কিন্তু পরিপ্রেক্ষিত নয়। কারণ অজুহাত হিসেবে এই কথাটি বলা হচ্ছে। যার যেমন যোগ্যতা সে সেরকম কাজের আশা করবে সেটা তার সাংবিধানিক অধিকার।"


আর একজন লিখেছেন- " আপনি নিজেও চোরের দলে নাম লিখিয়ে মহাচোর হয়ে উঠছেন। আপনার বই কিনে আর পড়ব না ,ওই কাগজে ঠোঙা বানিয়ে চপ বেচব"


কার্যত তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে এদিন মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মন্তব্যেও। যদিও মনোরঞ্জন বাবু এই মন্তব্য বিষয়ে বলেছেন- "যাদের আমার আগের কমেন্টে কটু মন্তব্য করা হয়ে গেছে তারা এবার এটায় করুন।
বলছি যে সব মা বাবাই চান যে তার সন্তান শিক্ষিত হোক। সেটা কোন দোষের নয়। সরকারও চায় সবাই লেখাপড়া শিখুক।
তা চাকরির সংখ্যা তো সীমীত। একশোজন লেখা পড়া জানা লোকের মধ্যে মাত্র পাঁচ দশ জন চাকরি পেতে পারে। বাকিরা কী করবে?
এবার তারা যদি বলে আমি লেখাপড়া শিখে টোটো কেন চালাব? চপের দোকান কেন দেব? আপনার জবাব কী হবে?"

 আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই পোস্ট-


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ