দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ স্কুলে যোগ ববিতার

Babita Sarkar
SSC SCAM




দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ স্কুলে শিক্ষিকা পদে যোগ দিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী (Ankita Adhikary)-কে এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC SCAM) পদ থেকে সরিয়ে দেয় হাইকোর্ট। নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। সেই মামলাতেই আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতা চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। এরপরে সেই পদে চাকরিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ববিতাকে (Babita Sarkar)। এদিন স্কুলে যোগ দিলেন ববিতা সরকার।



প্রায় ৪ বছরের আইনি লড়াই শেষ করে সোমবার, স্বপ্নপূরণ হল শিলিগুড়ির ববিতা সরকারের। কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata HighCourt) নির্দেশে, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিলেন ববিতা।



মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া বলেন, 'কোর্টের নির্দেশ সব কিছু হল, আমরা খুশি। আমাদের শিক্ষিকা কম ছিল, একজন শিক্ষিকা হল।' এদিন, ববিতা সরকারকে SFI/DYFI ও বিজেপির তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।



২০১৬ সালে SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে চাকরি পান খোদ রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। অভিযোগ মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ দ্বিতীয় লিস্টে নাম চলে আসে মন্ত্রী কন্যার। ফলে মেধাতালিকায় থাকা অন্য কর্মপ্রার্থীরা পিছিয়ে পড়েন।


হাইকোর্টে মামলা শুনানিতে SSC-র সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, 'মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬। পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই তাঁর নাম তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে'।



চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার এই  মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে তাঁর নাম ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম চলে আসে এক নম্বরে। অঙ্কিতা চাকরি পেয়ে যান। ববিতা সরকার নাম চলে যায় ২১ নম্বরে। ওয়েটিং লিস্টে ১ থেকে ২০ নম্বরে যাঁরা ছিলেন তাঁরা চাকরি পেলেও ববিতা সরকার চাকরি পাননি। স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হন তিনি। এরপরেই আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই (SSC SCAM)। চাকরি যায় মন্ত্রীকন্যার।