প্রাক বীর্যরসে কি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে? জানুন বিস্তারিত

প্রাক বীর্যরসে কি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে? জানুন বিস্তারিত

Sex



প্রাক বীর্যরস বা প্রিকাম কুপার্স গ্ল‍্যান্ডে থাকা একধরনের উৎসেচক বা এনজাইম, প্রোটিন ও মিউকাসের মিশ্রণ। যা গর্ভধারণের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। বলা হয় মাতৃত্ব মেয়েদের আশির্বাদ। কিন্তু কিছু কিছু সময় অনেকেই শারিরীক ও মানসিকভাবে অনেকেই প্রস্তুত থাকেন না। ফলে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়ায়। গর্ভবতী হওয়ার সমস্ত সম্ভবনা উড়িয়ে দিলেও অনিয়মিত মাসিক চক্র মনকে আতঙ্কিত করে তোলে। যার কারণ হতে পারে এই প্রিকাম।




পুরুষদের মূত্রনালীতে অবস্থিত কুপার্স গ্ল‍্যান্ড থেকে অনেক সময় যৌন সঙ্গম কালে প্রিকাম নির্গত হয়। এটি বীর্য নয় তবে এরমধ‍্যে বীর্যের উপস্থিতি থাকতে পারে। তবে কখন প্রিকামে বীর্য থাকবে, সেটাও নিশ্চিত ভাবে বলা মুশকিল। প্রিকাম আসলে শুক্রানুর রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। মূত্র সাধারণত অ্যাসিডধর্মী, মূত্রের অবশিষ্টাংশ শুক্রাণুর সাথে মিশে গর্ভধারন সম্ভবনা কমাতে পারে। প্রিকাম এই অবশিষ্টাংশের সঙ্গে মিশে প্রথমে যোনিতে প্রবেশ করে, সেই সঙ্গে শুক্রাণুর প্রবেশের পথও প্রশস্ত করে।



সাধারণ বীর্যপাতের ক্ষেত্রে যার মধ্যে ভাল মানের শুক্রাণু বর্তমান, সে ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তবে তার তুলনায় প্রিকামের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা প্রায় শূন্য বলেই ধরা হয়। কিন্তু প্রিকাম থেকে প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়েও দেওয়া যায় না। যেহেতু প্রিকামেও শুক্রাণু উপস্থিত থাকে, তাই গর্ভধারণের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থেকে যায়। বীর্যপাতের পূর্বেই প্রিকাম নির্গত হয়।




লেবিয়া অথবা যোনিপথের কাছাকাছি থাকলে গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। পাশাপাশি ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডস চলে, তাহলেও প্রিকাম থেকে প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা ভীষণই ক্ষীণ। তবে অবশ‍্যই মনে রাখতে হবে প্রিকাম গর্ভসঞ্চার করতে যথেষ্ট সক্ষম। তবে তা খুব বিরল ঘটনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ