Today News: গাড়ি চুরির অভিযোগ জানাতে এসে থানার সামন থেকেই চুরি গেলো চার চাকার গাড়ি


থানা, পুলিশ, মানুষ



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল: গাড়ি চুরির অভিযোগ করতে এসে গাড়ি চুরি,ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে থেকেই। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আসানসোল শহরে। মঙ্গলবার কলিগের গাড়ি চুরির অভিযোগ করতে এসে নিজের চারচাকা গাড়ি চুরি হয়ে গেল আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে।




নন্দকিশোর প্রসাদ নামক আসানসোল রেলওয়ে স্টেশনের এক গাড়ির চালককে নিয়ে ঝাড়খন্ডের ধানবাদ যায় সোমবার দুপুরে। সেখানে গাড়ির চালক তথা মালিককে নেশা খাইয়ে গাড়ি সহ সমস্ত জিনিসপত্র ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। সেই অবস্থায় আসানসোল তাদেরকে পাঠিয়ে দেয় । এই খবর পেয়ে অন্যান্য গাড়ির চালকরা নন্দকিশোরকে নিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করতে যায় একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে। থানায় অভিযোগ জমা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে থেকে তাদের গাড়িটিও চুরি হয়ে যায়।




চালক নন্দ কিশোর জানান, আসানসোল স্টেশন থেকে ধানবাদ যাওয়ার জন্য সোমবার দুপুরে তিন হাজার টাকা ভাড়ায় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়।তারপর আমি তার সঙ্গে চলে যাই।এরপর ধানবাদের কাছে বারবাড্ডার কাছে তাকে কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার জন্য দেওয়া হয়। তারপর তার আর কিছুই মনে নেই।




স্ত্রী আশা প্রসাদ জানান, সোমবার দুপুরে স্বামীর সঙ্গে কথা হয়।তার পর আজ সে শুধু অন্তর্বাস ও গেঞ্জি পড়ে অর্ধচেতন অবস্থায় আসে। আমি দেখে হতচকিত হয়ে যাই৷তিনি আরো জানান, স্বামী আমাকে বলেছিল ধানবাদ ভাড়া নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে তাকে ঠান্ডা পানীয়তে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করায়।তারপর তার মোবাইল,টাকা ও সুইফট ডিজায়ার গাড়ি ছিনতাই করা হয়।




এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল পৌরনিগম ও আসানসোল দক্ষিণ থানার আশেপাশে। গাড়ির চালকদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক লক্ষ করা গিয়েছে। থানার সামনে থেকে কিভাবে একটা গাড়ি চুরি হয়ে যেতে পারে। যদিও পুলিশ ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের আধিকারিক ও পুলিশ কমিশনারের প্রায় প্রত্যেকটি থানাকে সজাগ করেছে এই গাড়িটির ব্যাপারে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। 

দুটি ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গাড়ির চালকরা। দুটি পরিবারের সদস্যরাই রীতিমতো কান্নাকাটি শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানায়। গরীব মানুষ কিভাবে তাদের রুজি-রুটি চলবে সেই প্রশ্নই তারা তুলেছে।