Lord Shiva: আগামী মার্চ মাসে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মেলা, খুশির মেজাজে শিবভক্তরা


জল্পেশ মেলা


মধুসূদন রায়, ময়নাগুড়িঃ শিব চতুর্দশী উপলক্ষে আগামী মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মেলা। পরে দশদিন ব্যাপি চলবে উত্তরবঙ্গের সর্বপ্রাচীন প্রসিদ্ধ এই মেলা।


উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শিবতীর্থ জল্পেশ ধাম। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শিব চতুর্দশী তিথিতে মেলা বসে জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন মেলার মাঠে। আগামী মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের জল্পেশের ফাল্গুনী মেলা।






শিব চতুর্দশী উপলক্ষে প্রতিবছর কোলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ রাজ্যের বাইরে থেকেও প্রচুর পূর্নার্থীর সমাগম হয় মন্দিরে। এমনকি পাশ্ববর্তী দেশ নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশের বহু মানুষ দেখা যায়। শিবরাত্রির তিথিতে পূর্ণস্নান সেরে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে পুজো দেন। পাশাপাশি পুজো দেওয়ার পর মেলা ঘুরে অনেকেই সেখানে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে রাত্রি বাস করেন। বাড়ি থেকে সবজি চাল ডাল নিয়ে এসে অনেকেই সেখানে রান্না বান্না সেরে পিকনিকের আমেজে পাত পেড়ে বসে খাওয়াদাওয়া করেন। তাই মেলায় খাবার ও অন্যান্য সৌখিন দোকানের পাশাপাশি চাল, ডাল, সবজি নিয়ে আসেন অনেক বিক্রেতা।


এদিকে সরকারিভাবে সাংস্কৃতিক মঞ্চের ব্যবস্থা থাকায় নানারকম লোকসংস্কৃতি এবং উত্তর বাংলার লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের হারানো গান মেলায় আগত মানুষের মন কাড়ে। তাই প্রতিবছর গ্রামগঞ্জে এবং শহরতলী থেকে মানুষজন মেলা ঘোরার পাশাপাশি রাত জেগে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সেখানে ভাওয়াইয়া গান, বৈরাতী নৃত্য, মেছেনি গান সহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির এক অনন্য পিঠস্থান হয়ে ওঠে জল্পেশ মেলা।


এবিষয়ে জল্পেশ মন্দির কমিটির ট্রাস্টিবোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, ‘করোনার জন্য পরপর দুটি বছর মেলা না হওয়ায় এবছর আশা করছি মেলা ভালই হবে। ২৮ শে ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণ ত্রয়োদশী থাকার কারণে সেদিন থেকে শুরু হচ্ছে মেলা। তবে প্রথম মার্চ থেকে পুরোপুরি ভাবে মেলা শুরু হবে। এবছর মেলায় সবকিছুই আগের মতো থাকছে। মন্দিরে প্রবেশ মূল্য থাকছে স্পেশাল টিকিট ১০০ টাকা এবং সাধারণ টিকিট ২০ টাকা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকটি দেখবেন ভলান্টিয়ার্সরা।’