ধুঁকতে বসেছে উত্তর বাঁকুড়ার বেল মালা শিল্প, শিল্পে ঝোঁক নেই নবীনদেরও
রঞ্জিত ঘোষ, বাঁকুড়া
উত্তর বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের রানীপুর গ্রাম। গ্রামের মানুষের মূল জীবিকা কৃষিকাজ হলেও কৃষির পাশাপাশি কুটির শিল্পের সঙ্গেও জড়িত গ্রামের মহিলারা। গ্রামের অধিকাংশ মহিলারা বেল মালা কেটে সামান্য কিছু অর্থ উপার্জন করেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে শুধুমাত্র মেজিয়া ব্লকের এই গ্রামের মহিলারাই বাঁচিয়ে রেখেছেন এই শিল্পকে। কিন্তু সেই কুটির শিল্প দিনের-পর-দিন ফিকে হতে বসেছে।
কাঁচা বেলের অধিক দাম এবং বাজারজাত করণের ব্যয় বৃদ্ধি, উৎপাদিত বেল মালার দাম নিম্নমুখী হওয়ায় আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলা শিল্পীরা। তার পর কোভিড পরিস্থিতিতে বেল মালার চাহিদাও কম। এছাড়াও ফোড়েদের দাপট তো রয়েছেই। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারের হিসেলেও পড়েছে টান।
নতুন প্রজন্মও তাই আর মুখ ফিরে তাকাচ্ছে না এই শিল্পের দিকে। তাই এই শিল্পের আগামী দিনে ভবিষ্যৎ কী? শিল্পীদের শিল্প সত্তা কি এইভাবেই অচিরেই মুছে যাবে? নাকি সরকারি হস্তক্ষেপে এই শিল্প নুতন করে ফের আশার আলো দেখবে সেই প্রশ্নই কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছে শিল্পীদের মনে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊