স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার গৃহস্থলির কাজে (Domestic Workers) যুক্ত ব্যক্তিদের সমীক্ষা চালাবে কেন্দ্র




গৃহস্থলির কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক (labour) বলে বিবেচিত হন। কিন্তু দেশে কতজন এ ধরণের কাজে যুক্ত এবং তারা কোন পরিবেশে কাজ করেন সে সম্পর্কিত তথ্যের অভাব রয়েছে। তাই কেন্দ্র লেবার ব্যুরো এবার সমীক্ষা (survey) চালাবে গৃহস্থলীর কাজে নিযুক্ত কর্মীদের জন্য।


কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দর যাদব জানিয়েছেন- ৩৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৪২টি জেলায় সমীক্ষার কাজ করা হবে।


শ্রী যাদব বলেন স্বাধীনতার পর এই প্রথম গৃহস্থলির কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। সরকার সকলকে নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে সমাজের প্রান্তিক স্তরে পৌঁছায় তার জন্য তথ্য নির্ভর বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মন্ত্রে দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সর্বভারতীয় সমীক্ষা এবং ই-শ্রম পোর্টাল (e-shram card ) এই উদ্যোগেরই অঙ্গ।


গৃহস্থলির জন্য কর্মরতদের এই সমীক্ষায় জাতীয় স্তরে এবং রাজ্যস্তরে কতো মানুষ এর মধ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি কতজন বাড়ি থেকে কাজ করতে যান এবং কতজন কর্মস্থলে থেকে কাজ করেন, পরিযায়ী ও অপরিযায়ী কর্মী, তাদের বেতন এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলি সম্পর্কে এই সমীক্ষার মাধ্যমে জানা হবে।


গৃহস্থলির কাজে যুক্ত কর্মীরা যেখানে কাজ করেন সেই বাড়ির আয়তন, ধর্ম, সামাজিক অবস্থান, মাসিক ব্যায় এবং কি পরিবেশে তারা থাকেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও কর্মীদের নাম, বয়স, তারা বিবাহিত না অবিবাহিত, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পরিবারের মূল পেশা সম্পর্কে জানা হবে। কর্মীরা কাজের জায়গায় কিভাবে যান, বাড়ি থেকে কাজের জায়গার দূরত্ব কত এবং কোভিড মহামারীর পর তাদের বেতনের ওপর কোনো প্রভাব পরেছে কিনা সে সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।


২০১১ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুযায়ী দেশে ৬ হাজার ১৯০টি গ্রাম এবং ৬ হাজার ৫৭৬টি শহরাঞ্চলে এই কাজ করা হবে। দেড় লক্ষ বাড়িতে এই সমীক্ষার কাজ এক বছর ধরে চলবে।