জলপাইগুড়ির এই স্থানে নেতাজীর পায়ের ধূলো পড়েছিলো- আজ সেই স্থান চরম অবহেলায়  

netaji jalpaiguri




জলপাইগুড়ির এক হনুমান মন্দিরে হনুমানজির সঙ্গে আজও পূজিত হন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। 1939 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেতাজী জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন। জানাযায় এখান থেকেই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু প্রথম ভারত ছাড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।


এই জলপাইগুড়িতেই নেতাজীর পায়ের ধুলো পড়ার জায়গাতে তৈরি হওয়া পুকুরের সংস্কার আজ পযর্ন্ত হয়নি বলে ক্ষোভ স্থানীয়দের। ভোটের পর্ব শেষ হয়েছে। হয়েছে নতুন বিধায়ক। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে জলপাইগুড়ি শহরের বারো নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইগুড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছের ইতিহাস জর্জ্জরিত পুকুরটির আজ পযর্ন্ত কোন সংস্কার বা উন্নয়ন হয়নি।

netaji  jalpaiguri pond
নেতাজীর ইতিহাস জর্জ্জরিত পুকুর



বিগত কয়েক বছর আগে শুধু চারিদিকে বাধানোর কাজ হয়েছিল । কিন্তু আজ পযর্ন্ত এই পুকুরের কোন সংস্কার তেমন ভাবে করা হয়নি। অথচ এই পুকুরের সামনে একদিন এসেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।


অথচ কীভাবে বাঙালি বিস্মৃত হয় তাঁর ইতিহাস, তা এখানে এলেই পরিষ্কার বোঝা যায়। বর্তমানে পুকুরটির হাল দেখলে মনে হয় এটি একটি জরাজীর্ণ জঙ্গলের স্তুপ। চারিদিকে নোংড়া ,জঙ্গলে পরিপূর্ণ। কচুরিপানা থেকে বিষাক্ত পোকামাকড়ের আতুর ঘর এখানে। জল হয়েছে বিষাক্ত। মশায় ভরে আছে পুকুরটি। সব সময় বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে এইখান থেকে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।


যদিও এই বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারপারসন পাপিয়া পাল বলেন পুকুরের সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। অন্য দিকে বিধায়ক ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা বলেন খুব তাড়াতাড়ি এই পুকুরের কাজ করার চেষ্টা করবেন।

ভিডিও নিউজ দেখার জন্য আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন-