শান্তিস্বরুপ ভাটনগর পুরষ্কার: ১১জনের মধ্যে ৪ বাঙালী





দেশের অন্যতম বিজ্ঞান সম্মান শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন ১১ বিজ্ঞানী। আর এই ১১ বিজ্ঞানীর মধ‍্যে ৪ জন বাঙালী। ৮০ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে রবিবার কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (CSIR) ৪৫ বছরের কম বয়সীদের জন‍্য এই পুরষ্কার প্রাপকদের নাম ঘোষনা করে।জীবনবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, মেডিসিন এবং পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।




ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, ব্যাঙ্গালুরুর ডিপার্টমেন্ট অফ মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড সেল বায়োলজির ডঃ অমিত সিং মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস (Mtb) প্যাথোজেনেসিসে জড়িত জিনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন।



কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বায়োলজিকাল সায়েন্সেস অ্যান্ড বায়োইঞ্জিনিয়ারিং-র ডঃ অরুণ কুমার শুকলা জীববিজ্ঞানী (সেল সায়েন্টিস্ট) হিসাবে কাজ করেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে আইআইটি কানপুরে রয়েছেন।




পুনের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের ডঃ কনক সাহা ভৌতবিজ্ঞানে এই পুরস্কার পেয়েছেন। ডঃ সাহার প্রাথমিক গবেষণা হল ছায়াপথের গঠন এবং বিবর্তন। প্রায় ৯৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে 'এইউডিএফ এসজিরোওয়ান' পোশাকি নামে এক ছায়াপথের আবিস্কার করে ভারতবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ড. কনক সাহা।




বেঙ্গালুরুর জওহরলাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অব ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্সের ডঃ কনিষ্ক বিশ্বাস এবং বায়ো-অর্গানিক কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরির ডঃ টি গোবিন্দরাজু এই পুরষ্কার পান। ডঃ কনিষ্ক বিশ্বাসের গবেষণার বিষয় হল তাপবিদ্যুৎ উত্পাদন এবং বর্জ্য থেকে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন। গোবিন্দরাজুর গবেষণা রাসায়নিক জীববিজ্ঞানের উপর।




জোড়হাটের কোল অ্যান্ড এনার্জি রিসার্চ গ্রুপের নর্থ ইস্ট ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ডঃ বিনয় কুমার সাইকিয়াকে পৃথিবী, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহবিজ্ঞানের জন্য মনোনীত হয়েছেন।




কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, আইআইটি খড়গপুর, ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন ডঃ দেবদীপ মুখোপাধ্যায়।



অচুথা মেনন সেন্টার ফর হেলথ সায়েন্স স্টাডিজ, শ্রীচিত্র তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি, তিরুঅনন্তপুরমের ডঃ জীমন পান্নিয়ামমাকাল মেডিকেল সায়েন্সের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি একজন মহামারী বিশেষজ্ঞও।




ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বম্বের বায়োসায়েন্স এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডঃ রোহিত শ্রীবাস্তব ফ্লুরোসেন্ট বায়োসেন্সর, ন্যানো ইঞ্জিনিয়ারড সেন্সর এবং স্তন ক্যান্সারের ফটোথার্মাল থেরাপির গবেষক।




মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের স্কুল অব ম্যাথেমাটিক্সের গাণিতিক বিজ্ঞান বিভাগে, ডঃ অনিশ ঘোষ এই পুরষ্কারে মনোনীত হয়েছেন।




ডঃ সাকেত সৌরভ, ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেস, চেন্নাই, মনোনীত হয়েছেন।