আপনি জানলে অবাক হবেন, জাপানে বহু বিবাহিত দম্পতিরাই কিন্তু আলাদা ঘুমায় 

Many Married Couples in Japan Sleep Separately



বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘুমাবে, এটাই স্বাভাবিক ভাবে ঘটে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন জাপানের বেশিরভাগ বিবাহিত দম্পতি একসাথে ঘুমায় না। তারা আলাদা বিছানায় ঘুমায়। 


ব্রাইট সাইড নামের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে জাপানের বিবাহিত দম্পতিরা কেন আলাদাভাবে ঘুমোতে পছন্দ করে তা নিয়ে তারা একটি গবেষণা করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে-

প্রথমত যে বিষয়টির কারণে জাপানি দম্পতিরা আলাদাভাবে বিছানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তা হ'ল তাদের কাজের ভিন্ন সময়সূচি। হয়তো স্বামী বা স্ত্রীকে খুব ভোরে কাজে যেতে হবে অথবা অনেক রাত্রিতে ফিরতে হবে তখন পাশের জনকে জাগিয়ে বা তার যাতে ঘুমের কোন ব্যাঘাত না ঘটে সে বিষয়টি তারা খেয়াল রাখে। এতে যে কোন একজনের অপূর্ণ ঘুম হতে পারে। তাই তারা আলাদা ঘরে রাত কাটায় যেনো তারা উভয়ই একটি নিরবিচ্ছিন্ন ও স্বাস্থ্যকর ঘুম দিতে পারে।

দ্বিতীয়ত জাপানি মায়েরা তাদের বাচ্চাদের সাথে ঘুমায় এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়, তাই পিতাকে একই বিছানা ভাগ করতে চান বা অন্য কোনও ঘরে যেতে চান কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে মায়ের সাথে শিশুর ঘুম খুব ভাল হয়। এটি বাচ্চাকে একটি স্থিতিশীল তাপমাত্রা এবং হার্ট রেট বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং একই সাথে এটি হঠাৎ শিশুমৃত্যুর সিনড্রোমের সম্ভাবনা হ্রাস করে।

আমাদের দেশে একমাত্র দাম্পত্য সম্পর্কে ঝগড়া বাঁধলেই আলাদা ঘুমাতে যান অনেকে, এমনটাই দেখা যায়। আর যদি আমাদের দেশে স্বামী স্ত্রী আলাদা ঘুমাতে যান- তাহলে অনেকে ভাবতে পারেন তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি বা বিচ্ছেদ রয়েছে কিন্তু জাপানিরা এটিকে অন্যভাবে দেখেন। তারা তাদের ঘুমকে অনেক মূল্য দেয় এবং ঘুমের সময় তারা কোনও ঝামেলা করতে চায় না। এর অর্থ হ'ল তারা চায় না সঙ্গীর নাক ডাকা, এলোমেলো শোয়ার ভঙ্গি, হাত পা ছোড়া, অস্থিরতা অন্যজনের ঘুমকে প্রভাবিত করুক।  খুব হবে শান্তির এটাই চান তারা। 


জাপানের ঘুমানোর এই কাহিনী যে অতীত থেকেই চলছে তা কিন্তু জাপানের  ছোট সাইজের খাট, বিছানা বা বালিশ দেখে বোঝা যায় । 

join us with Telegram


The article has been translated based on the content of Suara.com by www.suara.com. If there is any problem regarding the content, copyright, please leave a report below the article. We will try to process as quickly as possible to protect the rights of the author. Thank you very much!