উপপ্রধান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনীতির বর্ণময় জীবন নিশীথ প্রামাণিকের 


Nishit Pramanik



ভারতবর্ষের অঙ্গরাজ‍্য পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত উত্তরবঙ্গের সীমান্ত ঘেষা জেলা কোচবিহার জেলার সাংসদ নীশিথ প্রামাণিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিতীয় দফায় আজ প্রথমবার রদবদল হল মন্ত্রীসভায় সেই মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেলেন নীশিথ প্রামাণিক। 



সালটা ২০১৩। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ভেটাগুড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হন। ধীরে ধীরে কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূলের উল্লেখযোগ‍্য মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। কার্যত তাঁর সময়কালেই কোচবিহার জেলাজুড়ে মাদার-যুব এর একটা বিরাট দাপট দেখা যায়। সেসময় মাদারে থাকা নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু একসময় একাধিক অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। 



এরপরে গত লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে সর্ব ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দিয়ে লোকসভায় প্রার্থী হন। আর জয়লাভ করেন। কোচবিহার জেলার সাংসদ তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বর্ষীয়ান দাপুটে নেতা উদয়ন গুহের বিপরীতে লড়াই করেন তিনি। ৫৭ ভোটে জয়লাভ করেন নীশিথ। 


কিন্তু মানুষের কথায় ধীরে ধীরে জন সমর্থন কমছে নীশিথের। সাংসদের পর তেমনভাবে নাকি তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। কাজের ক্ষেত্রেও অভিযোগ রয়েছে। ধীরে ধীরে পুরোনো সঙ্গীরাও একে একে তৃণমূলে ফিরছে। ফলে সংগঠনকে ধরে রাখতেই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইলেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। 


বিজেপির ভিতরের খবর, বরাবরই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুডবুকে ছিলেন এই তরুণ সাংসদ। এবার তাঁকেই করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উপপ্রধান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তার এই বর্ণময় জীবন।