বেলাশেষ স্বাতীলেখার, না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত





বেলাশেষ স্বাতীলেখার। ৭১ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। বিগত ২৫ দিন ধরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আজ দুপুরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন স্বাতীলেখা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।



নাট্যমঞ্চ এবং সিনেমায় অভিনয় সম্বৃদ্ধ করেছে বাংলার শিল্পকলাকে।সাতের দশকে এলাহাবাদে নাট্যমঞ্চে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু। ইংরাজী সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন স্বাতীলেখা। ১৯৭৮ সালে  কলকাতায় আসার পর নাট্যদল নান্দীকারে যোগ দেন।  পিয়ানো এবং বেহালা বাজানোয় পারদর্শি ছিলেন তিনি।



প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের 'ঘরে বাইরে' ছবির 'বিমলা' স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক পর্দায় সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’-তে দেখা গিয়েছিল স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে। প্রযোজক-পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 'বেলাশেষে' ছবিতে ফের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে দেখা যায় তাঁকে। 



শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তায় লিখেছেন, ''বিশিষ্ট অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।  থিয়েটারে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। সত্যজিৎ রায়ের 'ঘরে বাইরে' ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শক চিরদিন মনে রাখবেন। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ধর্মযুদ্ধ, বেলাশেষে, বরফ ইত্যাদি। তিনি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল থিয়েটার জার্নালিস্টস' অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর  প্রয়াণে অভিনয় জগতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল।আমি স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের স্বামী রুদ্রপ্রসাদ ও কন্যা সোহিনী সেনগুপ্তসহ তাঁর  অগণিত অনুরাগী ও আত্মীয়স্বজনকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।''