জল্পনার অবসান, তৃণমূল ভবনে যাচ্ছেন মুকুল রায়





সকাল পেরোতেই মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা মাথা চাড়া দিতে থাকে আর সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ দুপুর ২টা নাগাদ সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে তৃণমূল ভবনের দিকে রওনা দেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় জানান, তৃণমূল ভবনে যাচ্ছেন।


এদিকে, কালীঘাটের বাড়ি থেকে প্রায় একই সময়ে বেড়িয়ে তৃণমূল ভবনের দিকে রওনা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে আজ এক বৈঠক রয়েছে সেই বৈঠকে দলত্যাগীদের দলে ফেরা নিয়ে আলোচনা হবে।


আজকের বৈঠকের পরেই তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিতে পারেন মুকুল রায়। কার্যত এমনটাই বর্তমান চিত্র। কারণ, তৃণমূলে যোগ না দিলে তৃণমূল ভবনে যাওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই মুকুল রায়ের। 


তৃণমূলে থাকাকালীন চাণক্য বলেই পরিচিত ছিলেন মুকুল রায়। তিনি এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।তৃণমূলে থাকাকালীন লোকসভা থেকে রাজ্যসভা, পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা,নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাতেন মুকুল।কিন্তু, এবারের বিধানসভা ভোটে তাঁকে সেভাবে বিজেপির হয়ে সার্বিকভাবে কৌশল সাজাতে দেখা যায়নি।কারণ, এবার তাঁকেই কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। ফলে মূলত নিজের কেন্দ্রের আটকে ছিলেন তিনি।


জল্পনা যেভাবে চলছিল সেভাবেই যদি আজ তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায় তবে তৃণমূলের শক্তি অনেকটা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, বিজেপি নেতারা যখন বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনায় সরব হচ্ছে, তখন কয়েকদিন আগেই মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু ফেসবুকে লেখেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা করার আগে, আত্মসমালোচনা করা বেশি প্রয়োজন। তখন থেকে মুকুল ও তাঁর ছেলের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বাড়তেই থাকে। এরপর মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক। আরও জোর পায় জল্পনা। প্রসঙ্গত, ভোটের মাঝে শুভ্রাংশু রায়ের বাবা মুকুল রায় সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের গলাতেও শোনা গেছিল কিছুটা নরম সুর।