উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি 








করোনা পরিস্থিতির জের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ ও জনমতের ওপর ভিত্তি করে বাতিল হয়েছে মাধ‍্যমিক ও উচ্চ মাধ‍্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ‍্যে বাতিল পরীক্ষার মূল‍্যায়ন পদ্ধতি ঘোষনা করেছে দুই বোর্ডই। উচ্চ মাধ‍্যমিকের মার্কশিট তৈরিতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্র‍্যাকটিক‍্যাল ও প্রোজেক্ট -কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘোষনার পরেই উচ্চ মাধ‍্যমিকের মূল‍্যায়নে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এর মাঝেই উচ্চ মাধ‍্যমিকের মূল‍্যায়ন পদ্ধতি  পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি লিখলেন অভিভাবকদের একাংশ। 




জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বারাসত গার্লস স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা মূল্যায়ন পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা আর্জি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, পড়ুয়ারা জানতো না একাদশের ফল দ্বাদশে এতটা গুরুত্ব পাবে এছাড়াও অনেকেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাকে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে দেয় না। ফলে এই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হলে সেটা পড়ুয়াদের জন্য ভাল হবে না।



অভিভাবকদের মতে, পড়ুয়াদের উচ্চ মাধ‍্যমিক ফলাফল অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলাফলে ওপর ভিত্তি করেই আগামীদিনে উচ্চ শিক্ষায় পথ বেছে নেবে তারা সেক্ষেত্রে সমস‍্যা হবে। তাই একাদশ শ্রেণির ফলের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা ঠিক হবে না। একটি বিকল্প উপায়ের কথাও জানানো হয়েছে চিঠিতে। তাঁদের দাবি উচ্চ মাধ‍্যমিকের রেজাল্টে দশম শ্রেণির রেজাল্টকে বেশি কাজে লাগালে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। 



এছাড়াও, করোনা মহামারির জেরে এবছর অনেক স্কুল সময়মতো একাদশ শ্রেণির নম্বর বোর্ডে পাঠালেও অনেক স্কুল পাঠায়নি। সেক্ষেত্রে এখন মূল‍্যায়ন পদ্ধতিতে একাদশ শ্রেণির নম্বরের গুরুত্ব বাড়ায় সেই স্কুলগুলো পড়ুয়াদের নম্বর বেশি বেশি করে দিতে পারে বলেই সংশয় অভিভাবকদের। সংসদ একাদশের প্রশ্ন বানালেও উত্তরপত্র দেখে না স্কুলকেই খাতা দেখে নম্বর পাঠাতে বলা হয়। সেক্ষেত্রে এখন নম্বর বাড়ালে পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে একটা সমস‍্যা দেখা দেবে। 




সামগ্রিক কারণ ও সম্ভাবনাগুলি জানিয়ে অভিভাবক মহল মূল‍্যায়ন পদ্ধতির পূর্ণবিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। মূল‍্যায়ন পদ্ধতি ঘোষনার পর রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্তের অভিভাবক অভিভাবিকা থেকে পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকারাও একাদশ শ্রেণিকে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ায় সংশয় প্রকাশ করেছে। এখন দেখার এই চিঠির পর কি সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দপ্তর।