বিয়েতে বাঁধা, সন্তান নিতে বাঁধা, জোর করে খাওয়ানো হয়েছে জন্মনিরোধক ঔষধ, মুক্তির আর্জি ব্রিটিনির 

sexy girl





দীর্ঘদিন মুখ বুজে থাকার পর এবার মুখ খুললেন এবং আদালতে দাড়িয়ে বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়ে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চাইলেন ব্রিটনি (Britney Spears)। জেল নয় বন্দি তিনি বাবার কাছেই। প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের (Britney Spears) জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর বাবা জিমি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল জিমিকে। সেই বন্দিদশা থেকেই মুক্তি চাইলেন তিনি। 





যত দ্রুত সম্ভব এই ‘অপমানজনক’ কেস শেষ করতে চান তিনি। যা তাঁর মন ভেঙে দেয় ও দাসত্ব অনুভব করায়। প্রথমবার খোলা আদালতে তাঁর বাবা ও তাঁকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সকলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি। 




অভিযোগ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খেতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে ও আরেক সন্তান নিতেও তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি। 





কনজারভেটরশিপ ভালোর থেকে খারাপ বেশি হচ্ছে বলেও জানান। স্বাভাবিক জীবন কাটানোর অধিকার চান তিনি। 





২০০৮ সালে আদালতের এক আদেশে ব্রিটনির বাবা জেমিকে যাবতীয় সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। সে সময় উদ্বেগ ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ব্রিটনিকে। তখন ১৩ কনজারভেটরশিপের রায় দিয়েছিল মার্কিনি আদালত। 




আদালতের তরফে এখনও কোনও রায় দেওয়া না হলেও গোটা বিশ্ব জুড়ে ‘ফ্রি ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।


ব্রিটনির (Britney Spears) প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জাস্টিন টিম্বারলেক  ব্রিটনিকেই সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, ‘ওঁর সঙ্গে যা হচ্ছে তা হতাশাজনক। কোনও নারী তাঁর শরীর নিয়ে কী করবে সেই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নিতে পারে না।’