জামাই ষষ্ঠীতে এচোড় চিংরি কোফতা কারি বানানোর সহজ রেসিপি
Jamai Sasthi Special Recipe: বাঙালিয়ানার কি পরিবর্তন হয়েছে? না বাঙালিদের জিভের স্বাদের পরিবর্তন হয়েছে? বাঙালি রান্নাঘরে সেই চিরপরিচিত স্বাদ-গন্ধের কি আকাল দেখা দিচ্ছে? তবে কেন বাড়িতে অতিথি আসলে বাইরে থেকে খাবার আসে? কেন জামাইষষ্ঠী থেকে দূর্গা পুজোর খাওয়া-দাওয়া ক্ষেত্রে এখন অধুনা বাঙালি রেস্তোরাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছে? পাত পড়ছে রেস্তোরাঁর টেবলে? কিন্তু পাতে তো নতুন কিছু না, বাহারি কায়দায় পরিবেশন করা হচ্ছে বাঙালির চিরাচরিত রান্নাই! তবে ঘরে কেন রান্না হবে না? কেন অতিথিরা হোটেলে খেতে যাবে ? তবে কি বাঙালি তার অতিথিকে খাওয়ানোর সনাতন পদ্ধতি ভুলে যাচ্ছে ?
তবে যাইহোক আজ এই বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি রান্নার মধ্যেও ঢুকে গেছে বিভিন্ন ফিউশন রান্না।আর্ন্তজাতিকতার মিশেলে সেই চির পরিচিত বাঙালি রান্না হয়ে ওঠে স্বাদে গুণে সেরা । গ্লোবালাইজেশানের পিঠে সওয়ার হয়ে বাঙালিরান্না জয় করেছে পৃথিবীর সব খাদ্য রসিকদের মন । এমনই সব রান্না নিয়ে মৌসোনা হাজির বাঙালির হেঁশেল এ । আজ জামাই ষষ্ঠীতে থাকছে এচোড় চিংরি কোফতা কারি বানানোর সহজ রেসিপি ।
রেসিপির নামঃ এচোড় চিংরি কোফতা কারি
উপকরণঃ
১। কুচো চিংড়ি মাছ ২। এচোড় ৩। পিয়াজ বাটা ৪। কাটা পেয়াজ ৫। রসুন ৬। সেদ্ধ আলু ৭। টক দই ৮। টমেটো
৯। গোটা গরমমশলা ১০। জিরার গুড়া ১১। ধনে গুড়ো ১২। লঙ্কা গুড়ো ১৩। কাঁচা লঙ্কা চেরা ১৪। সরিষার তেল ১৫। সাদা তেল ১৬। লবণ ১৭। চিনি ১৮। বেসন
প্রণালীঃ
প্রথমে এচোড় গুলোকে দুমা দুমা করে কেটে নিতে হবে। তারপর নুন হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। অন্যদিকে কুচো চিংড়ি মাছ নুন হলুদ মাখিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। তারপর সিদ্ধ করা ইছর গুলোকে জল ঝড়িয়ে নিতে হবে। এরপর সেদ্ধ করা আলু সেদ্ধ করা এচোড় পরিমাণ মতন পিয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, একটু নুন হলুদ, আর একটু বেসন সব কিছু দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। কোফতার মতন আকার হবে। এবার ওই মিশ্রণের ভেতরে ভাজা চিংড়ি মাছ গুলোকে পুরের মতন করে ভরে নিয়ে হবে। তারপর শুকনো বেসন দিয়ে পুর সমেত পোস্তা গুলোকে হাল্কা করে মেখে নিতে হবে।
এরপর কড়াইয়ে সাদা তেল গরম করে কম আঁচে পোস্ত গুলোকে ভাজতে হবে। বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত।
এরপর কড়াইয়ে সরষের তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেল গরম হলে গোটা গরম মশলা, চেরা কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, জিরের গুড়ো, ধনে গুড়ো, টমেটো কুচি, ও আগে থেকে ফেটিয়ে রাখা টক দই দিতে হবে।
তারপর ভালো করে কশানো হলে জল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর পোস্তা গুলো খুব সাবধানে একের পর এক ঝোলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পোস্তা সমেত ঝোল ফোটানোর পর ১ চামচ ঘি, সামান্য পরিমাণ গরম মশলা আর পছন্দ মতন ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊