এবার বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিমিটার- করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ রাজ্যের




করোনা মোকাবিলায় এবার আপনার বাড়ি পৌঁছে যাবে অক্সিমিটার এমনই উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। করোনা থাবা বসিয়েছে শরীরে বুঝতে পারছেন না অনেকেই নেই কোনও উপসর্গ। বুঝতে বুঝতে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা। হাসপাতালে গিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বিশেষত গ্রামীন এলাকার মানুষ। তবে বাড়িতে একটা অক্সিমিটার থাকলে তবে এই বিপর্যয় থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন মেপে আগাম সতর্ক হওয়া যাবে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার বাড়ি বাড়ি অক্সিমিটার পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার।



জানা যাচ্ছে সম্প্রতি রাজ্যের গ্রামীন এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে জ্বর- সর্দি নিয়ে অনেক রোগীই আসছে তাঁদের টেস্ট করালেও রিপোর্ট পেতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে শারীরিক পরিস্থিতি জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের কাজে লাগিয়ে এবার অক্সিমিটার এরুপ অসুস্থ রোগীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথমে রাজ্যের দশটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এর আওতায় এনে কাজে লাগানো হবে বলে খবর।


রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, "কোভিড উপসর্গ রয়েছে কিন্তু টেস্ট রিপোর্ট আসেনি, এমন সব রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে কয়েক দিনের জন্য পালস অক্সিমিটার দেওয়া হবে। যা আশাকর্মীরা হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেবেন। উপসর্গ কমলে বা রোগী হাসপাতালে ভরতি হলে তা আবার ফেরত দিতে হবে।" এক কর্তা জানালেন "জুনের গোড়াতেই যাতে পাইলট প্রকল্পে কাজ শুরু করা যায়, তার তৎপরতা শুরু হয়েছে।”এক স্বাস্থ্যকর্তার মন্তব্য, “যাদের হাসপাতালে ভরতির দরকার নেই। অথবা রিপোর্ট আসেনি। ওঁদের‌ জন্যই অক্সিমিটার।”


জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে সার্ভে। কোভিড উপসর্গ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে এমন মানুষদের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। সেই তালিকা অনুযায়ী অক্সিমিটার দেওয়া হবে আবার নেওয়া হবে ফেরত। গ্রামীণ বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যান্স মোতায়েন রাখা হবে, যাতে গুরুতর অসুস্থকে দ্রুত জেলার কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা যায়।এমন ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।