উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব নিজের কাছেই রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমন্ত্রী সাবিনা




রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিপুলভাবে জয় লাভ করে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত ৫ই মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর, আজ ১০ই মে মন্ত্রী সভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় রাজভবনের থ্রোনরুমে। করোনা পরিস্থিতির জের অনাড়ম্বর ও ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হয় শপথ গ্রহণ। মাত্র ৭ মিনিটে ৪৩জন সদস্যের শপথ গ্রহণ হয়। ৪৩ জন সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রী সভায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ২৪জন, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ১০ জন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ৯ জন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরেই প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠক হয় আর সেই বৈঠকেই দেওয়া হয় দপ্তর।



গত মন্ত্রী সভায় উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন রবীন্দ্র নাথ ঘোষ। কোচবিহারের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবছর জয়ের স্বাদ পাননি। তাঁর আগে ছিলেন গৌতম দেব তিনিও এবার জয়লাভ করতে পারেননি। তখন স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা চলছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী কাকে দেওয়া হবে?উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছিল গত কয়েকদিন ধরেই। আর তার অবসান হল আজ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব নিজের কাছেই রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, ভূমি- ভূমিসংস্কার ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরও নিজের কাছে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



রাজ‍্য বিধানসভায় বিপুল জয় লাভ করলেও উত্তরবঙ্গে কার্যত ভরাডুবি তৃণমূলের। বেশিরভাগ আসনেই আধিপত‍্য দেখিয়েছে বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রক নিজের কাছে রেখে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের ধারাকে বেগ দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে উন্নয়নের নিরিখে যদি আগামীতে ভোটে উত্তরবঙ্গে সাফল্য লাভের মুখ দেখে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে বাড়তি নজর দিতেই এই পদক্ষেপ মমতার বলেই তৃণমূলের একাংশের মত। মন্ত্রীত্ব অন্যের হাতে থাকলেও নেত্রী সবসময়ই নজর রাখতেন উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দিকে। এবার সরাসরি তিনিই তুলে নিলেন দফতরের দায়িত্ব। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মালদার সাবিনা ইয়াসমিনকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে।