রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এলো বন্ধন
বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এসেছে l রাজ্য সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে তারা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সুদৃঢ় করে তোলবার জন্যে ও জনসাধারণের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাটুকু প্রদান করার জন্যে নানান পদক্ষেপ করেছে। পিছিয়ে থাকে নি বন্ধনও। কলকাতা শহরে ও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসা পরিষেবার সুব্যবস্থা করতে তারা ইতিমধ্যেই কোভিড হাসপাতাল, কোভিড কেয়ার ইউনিট, গ্রামীণ হাসপাতাল ও অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর-এর ব্যবস্থা করেছে।
ভবানীপুরের কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল, যা কিনা একটি হেরিটেজ ভবন হিসেবে পরিচিত, সেটি আবার নতুনভাবে ৩০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল হিসেবে পরিষেবা দেওয়া শুরু করলো। মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে, কলকাতা পুলিশ ও বন্ধন ব্যাংকের আধিকারিকরা এই হাসপাতালের উদ্বোধন করলেন।
এই হাসপাতালের অর্ধেকের বেশি বেডই পুলিশকর্মীদের জন্যে বরাদ্দ থাকবে, যাঁরা সামনের সারিতে থেকে এই সংকটকালে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। প্রতিটি বেডই এখানে অক্সিজেনযুক্ত। এছাড়াও আছে ৪০টি বেডযুক্ত এইচডিইউ বা হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট।
একটি প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে বন্ধন এই শতাব্দী-প্রাচীন বিল্ডিংটিকে একটি অত্যাধুনিক কোভিড হাসপাতালে পরিণত করেছে যেখানে সাধারণ মানুষ, রাজ্য পুলিশ ও অন্যান্য মিত্র-বাহিনী যেমন সিআরপিএফ, ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস ও ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
সোনারপুরের কাছে রাজপুরে অবস্থিত বন্ধনের ট্রেনিং সেন্টারটিকে সরকারি তত্ত্বাবধানে ৩০০ বেডের কোভিড কেয়ার ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এছাড়াও, জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি ও কোভিড সুরক্ষাবিধির সম্প্রচারের কাজও নিয়মিত করে চলেছে বন্ধনের কর্মীরা। বারাসাত পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের অধীনে ৯টি এলাকাতেও পুলিশের সাথে যৌথভাবে এই কাজ করা হচ্ছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রথম সারির একটি সংস্থার পরিচালনায় বর্ধমান ও বীরভূমে দুটি গ্রামীণ হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে গ্রামের মানুষরা নিত্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়মিত পাবেন। তাছাড়া রাজ্য সরকারকে ১৫০টি অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, "এই সংকটের পরিস্থিতিতে সকলকে অনুরোধ করছি নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে, মাস্ক পরতে ও কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে। চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতি তো অবশ্যই দরকার, কিন্তু তার থেকেও বেশি দরকার আমাদের নিজেদের সতর্কতা। জানি এই পরিস্থিতিতে কোনো প্রচেষ্টাই হয়তো যথেষ্ট নয়, তবুও আমরা বন্ধনের পক্ষ থেকে আমাদের যথাসাধ্য করছি, করে যাবো। আমার বিশ্বাস এভাবেই হাত হাত রেখে, একসাথে আমরা এই ভয়াবহ সময় পেরিয়ে যেতে পারবো।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊