হোম আইসোলেশনে কখন থাকবেন, কি কি নিয়ম মানবেন? জানালো AIIMS
হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের জন্য গাইডলাইন দিল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস(AIIMS)। কীভাবে হোম আইসোলেশনে থাকবেন তার পরামর্শ দিয়েছে AIIMS ।
কারা হোম আইসোলেশনের যোগ্য ?
কেবল মাইল্ড কোভিড রোগীদেরই হোম আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
শ্বাসনালীর ওপরের ভাগে সমস্যা বা শ্বাসকষ্টের কোনও অসুবিধা না হলে সেই রোগী হোম আইসোলেশনের যোগ্য।
সামান্য কোভিড হয়েছে, তা চিকিৎসকই ঠিক করবেন।
হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের পরামর্শ
➡️ হোম আইসোলেশনে রোগীর ক্ষেত্রে ঘরের সঙ্গে বাথরুম থাকাটা আবশ্যিক নয়তো রোগীর জন্য আলাদা বাথরুম রাখতে হবে।
➡️ HIV পজিটিভ রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকায় বাড়িতে রাখাটা ঝুঁকি তাই সাধারণত হোম আইসোলেশেনে থাকার উপদেশ দেওয়া হয় না। তবে চিকিৎসক বললে অবশ্যই তাঁদের বাড়িতে রাখা যেতে পারে।
➡️ প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে কো-মর্বিডিটি বা অন্যান্য রোগ থাকলে ২৪ ঘণ্টা কোনও নার্স রেখে চিকিৎসকের পরামর্শেই কোভিড রোগীকে বাড়িতে রাখার পরামর্শ দেওয়া উচিত।
➡️ প্রবীণ নাগরিকদের হোম আইসোলেশনে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে হবে নার্সকে। নিয়ম মেনে আপডেট দিতে হবে 'ট্রিটিং ফিজিশিয়ান'কে। কোভিডের চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ওষুধও খাইয়ে যেতে হবে নার্সকে।
➡️ রোগীর শরীরে যেন জলের পরিমাণ না কমে সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিক যাঁদের কোমর্বিটিডি রয়েছে, তাঁদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিপাইরেটিক্স চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখত হবে, এইসব রোগীর ক্ষেত্রে ঘুম একটা বড় ফ্যাক্টর।
➡️ নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাবধানে পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রায় নজর রাখতে হবে। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
➡️ পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে সংস্পর্শে আশা যাবে না রোগীকে। নির্দিষ্ট ঘরের মধ্যেই থাকতে হবে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক ও কোমর্বিডিটি রয়েছে এরকম পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে থাকুন।
➡️ সবসময় দরজা জানালা খোলা রেখে বাতাস প্রবেশ করতে পারে এমন ঘরে রোগীকে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।
➡️ হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন রোগীকে সর্বদা ত্রিস্তরীয় মেডিক্যাল মাস্ক পরে থাকতে হবে। প্রতি ৮ ঘণ্টা অন্তর বা তার আগে ভিজে গেলে এই মাস্ক বদলে ফেলতে হবে রোগীকে। 'কেয়ার গিভার' রোগীর ঘরে প্রবেশের আগে দুজনকেই এন ৯৫ মাস্ক পরতে হবে।
➡️ রোগী ঘরের যেই জায়গা স্পর্শ করছে সেগুলি ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার দিয়ে এই জায়গাগুলি পরিষ্কার করে কোনও লাভ হবে না।
➡️ রোগীকে নিজের ঘরে খাবার দিতে হবে। রোগীর বাসন ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
➡️ রোগীর ক্ষেত্রে নিয়ম করে দিনে ২ বার গরম জলে গার্গল ও উষ্ণ গরম জলে ভাপ নেওয়াটা বাধ্যতামূলক।
➡️ এই সময়ে ভিটামিন সি ও জিঙ্ক ট্যাবলেট নিতে পারেন রোগী।
➡️ কোনওভাবেই হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন রেমডিসিভির নেবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে কোনও হাসপাতালে নিতে হবে।
➡️ ১০দিন কোনও উপসর্গ দেখা না দিলে হোম আইসোলেশন পর্ব ত্যাগ করতে পারেন রোগী। টানা তিন দিন জ্বর না এলেও এই কাজ করা যাবে। একবার হোম আইসোলেশন পর্ব শেষ হলে করোনা পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊