বাড়াবাড়ি করলে, জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’: দিলীপ ঘোষ


শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। বরানগরে ভোট-প্রচার থেকে শীতলকুচি নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


বরানগরের প্রচার সভা থেকে হুঙ্কার বিজেপি রাজ্য সভাপতি  দিলীপ ঘোষের। গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচির প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘শীতলকুচিতে দুষ্টু ছেলেরা গুলি খেয়েছে। এই দুষ্টু ছেলেরা থাকবে না বাংলায়।কেউ আইন হাতে নিলে এটা সারা বাংলায় হবে।১৭ তারিখও কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাকবে।কেউ বাড়াবাড়ি করলে, জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ দেখুন ভিডিও-




উনি পাপ, অন‍্যায় করেছেন, উস্কে দিচ্ছেন, ভাষন ব‍্যান্ড করা হোক, শীতলকুচি কাণ্ডে মমতাকে আক্রমন দীলিপের 



শীতলকুচি কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। বলেন, উনি পাপ করছেন, অন্যায় করছেন। মানুষকে উস্কে দিচ্ছেন। প্রচার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মমতার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। 



ভোটের পরের দিন শীতলকুচির বেলাকোবায় উদ্ধার তাজা বোমা


জোড় পাটকী গ্রামের ১০-১৫  কিমি দূরত্বে  শীতলকুচির বেলাকোবায় উদ্ধার তাজা বোমা। অভিযোগ, গতকাল রাতে এলাকায় বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। নিরাপত্তার দাবিতে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের।



ভোট চলাকালীন শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে জোড় পাটকি গ্রামের চারজনের। এর প্রতিবাদে গ্রামে কালো পতাকা নিয়ে  শোকমিছিল ও  কালাদিবস পালন করবেন গ্রামবাসীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকেও কাঠগড়ায় তুলছেন তাঁরা। গতকালের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। গ্রামবাসীরা  শহিদ বেদি গড়বেন এবং কালো পতাকা নিয়ে শোকমিছিল।




দক্ষিণ ২৪ পরগনার যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি শওকত মোল্লার নেতৃত্বে জীবনতলা বাজার এলাকায় বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে ধিক্কার মিছিল।

রাজ্য জুড়ে কালো ব্যাচ পড়ে কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। 



এই ঘটনার জেরে কোচবিহার জেলা নিয়ে কড়া কমিশন। আগামী ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক নেতা নেত্রী কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবে না বলেই নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না আজ।



গতকাল রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় শীতলকুচিতে। মোট পাঁচ জন এদিন নির্বাচনের বলি হয়। জোড়পাটকী বুথে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রান হারায় চার জন। আহত হন আরও তিন। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি।