সাতদিন-ব্যাপী লকডাউন জারি বাংলাদেশে! জারি হয়েছে একাধিক বিধি নিষেধ
করোনা দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে কাঁপাচ্ছে বিশ্বকে। ভারতেও করোনা দ্বিতীয় স্ট্রেইন চলছে। জাঁকিয়ে বসেছে বাংলাদেশেও। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ব ঘোষণামতো সোমবার থেকে বাংলাদেশে চালু হয়েছে সাতদিন-ব্যাপী লকডাউন। কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি বিচার করে ভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ সামলাতে লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সেদেশের প্রশাসন।
রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে ১১-দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।-
যাবতীয় গণ-পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল, জল ও আন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহণ বন্ধ ।
জরুরি পরিষেবা, পণ্য পরিবহণ, উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ছাড় দেওয়া হয়েছে ।
ছাড় দেওয়া হয়েছে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী দফতর, কর্মী ও গাড়িকে।
আইনরক্ষক, ত্রাণবণ্টন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ, জল, গ্যাস, দমকল, বন্দর পরিষেবা, টেলিফোন ও ডাক বিভাগকেও এই লকডাউনের আওতা থেকে বাদ।
সকল সরকারি, বেসরকারি, স্বশাসিত দফতর এবং আদালতের দৈনিক কাজ সীমিত সংখ্যক কর্মচারীদের নিয়ে চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
খাবার কিনে বাড়ি নিয়ে যাওয়া বা অনলাইনে খাবার সরবরাহ চালু থাকবে রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া বন্ধ থাকবে।
শপিং মল সহ যাবতীয় দোকান বন্ধ থাকবে। পাইকারি বা অনলাইন পরিষেবা দিতে পারবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাদ্যপণ্য সহ রান্নায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র খোলা জায়গায় বিক্রি করা সম্ভব হবে।
ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু থাকলেও, তা হবে সীমিত। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নিজ পরিষেবা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ঘোষণা করবে।
ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড হাসপাতাল গঠন করবে সশস্ত্র বাহিনী। নির্দেশিকা যাতে যথাযথ কার্যকর এবং পালন করা হয়, তা নিশ্চিত করবে স্থানীয় প্রশাসন। আইনরক্ষকরা দেশের সব প্রান্তে নিয়মিত প্যাট্রলিং করবে।
নির্দেশিকা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊