এবার ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের ভিডিও ভাইরাল, ট্রেন্ডিং ট্যুইটারেও- অপসারণের দাবীতে উত্তাল নেট দুনিয়া 






রাত্রি ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি হয়েছে ২২ এপ্রিল থেকে। যা চলবে ১ মে পর্যন্ত। under section 144 cr.PC এই কার্ফু জারি হয়েছে পশ্চিম ত্রিপুরাতে। অথচ এই নাইট কার্ফু চলাকালীন সময়ে ২৬ এপ্রিল আগরতলায় একটি বিয়ে বাড়িতে তখনও লোক সমাগম ছিলো। আর এমন সময় সেখানে পৌঁছে যান ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট । আর তারপর সেখানে যাকে পাচ্ছেন তাকেই অ্যারেস্ট করবার আদেশ দেন। এমনকি পুরোহিতকে চড় মারতেও দেখা যায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে স্যোসাল মিডিয়ায়।


সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী ও বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন- '২৬ শে এপ্রিল রাতে আগরতলায় অবস্থিত “মানিক্য কোর্ট” নামক বাড়ীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান লন্ডভন্ড করতে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক যে কান্ড করলেন, প্রচার মাধ্যমে আজ তা না দেখলে কারাে পক্ষে বিশ্বাস করা সম্ভব হতাে না। কনের আত্মীয়, বর, পুরােহিত, আমন্ত্রিত অতিথি, এমনকি পুলিশ কর্মীদের কেউ কেউ জেলা শাসকের দ্বারা নানা ভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন অনেককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কনের ভাই একজন ডাক্তার। তিনি এই বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের অনুমােদন চেয়ে চিঠির অনুলিপি এবং সরকারের অনুমােদন ইত্যাদি সম্বলিত তথ্য জনগণের জ্ঞাতার্থে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।'


মানিক সরকার আরও বলেন, 'সবকিছু দেখে আমি স্তম্ভিত। এ একাধারে ক্ষমতার দম্ভের এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নির্লজ্জ প্রকাশ। জেলা শাসকের মত গুরুদায়িত্বপূর্ণ পদে আসীন কোন ব্যক্তির কাছ থেকে এই আচরণ একেবারেই বেমানান।'

আসুন দেখে নেই সেদিনের ভাইরাল ভিডিও-




 

  • পশ্চিম ত্রিপুরা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা। জেলা সদর দপ্তর আগরতলায় অবস্থিত, যা রাজ্যের রাজধানীও। 2012 সালের হিসাবে এটি ত্রিপুরার সবচেয়ে জনবহুল জেলা (8 এর মধ্যে)। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পূর্ব ও দক্ষিণে পূর্ব ও দক্ষিণে সিপাহীজলা জেলা দ্বারা খোয়াই জেলার উত্তর ও পশ্চিমে অবস্থিত। ত্রিপুরার রাজ্যের চারটি নতুন জেলার সৃষ্টি হওয়ার পরে জেলাটির মোট এলাকা 983.63 বর্গ কিলোমিটার।