কমবয়সী রোগীর প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালের বেড ছেড়ে কোভিড যুদ্ধে প্রাণ হারালেন প্রবীন RSS কর্মী 




সংবাদ একলব্য :




শ্রী নারায়ণ দাভাদকর, মহারাষ্ট্রের নাগপুর নিবাসী ৮৫ বছর বয়স্ক আরএসএস স্বয়ংসেবক, করোনা আক্রান্ত যুবকের জন্য নিজের জন্য বরাদ্দ হাসপাতালের বেড ছেড়ে দিয়েছিলেন , তিনদিন পর করোনার সাথে লড়াইয়ে তিনি প্রাণ হারালেন।




শ্রী নারায়ণ দাভোড়কর, ভালোবেসে লোকে ডাকতো দাভোড়কর কাকা, সমগ্র জীবন নিজেকে সমাজসেবার কাজে উৎসর্গ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ এর কবলে পরেন। তার অক্সিজেন মাত্রা ৬০% পর্যন্ত নেমে আসে। তার মেয়ে তার জন্য শহর জুড়ে হাসপাতাল বেড খুঁজে বেড়ান, অনেক চেষ্টার পরে ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালে একটি বেড জোগাড় করা যায়। দাভোড়কর কাকাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো।




হাসপাতালে দাভোড়কর কাকার চোখ পরে ৪০ বছরের এক মহিলা এবং তার ছোট্ট শিশুদের দিকে, এই মহিলা হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে একটি হাসপাতাল বেডের জন্য কান্নাকাটি করছিলেন, কেনো না তার স্বামী কোভিড আক্রান্ত, এবং অবস্থা সংকটজনক।




দাভোড়কর কাকা হাসপাতালের মেডিকেল টিমকে তার বেড ঐ যুবককে দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন । তিনি বলেন "আমার বয়স ৮৫, আমি নিজের জীবন উপভোগ করেছি, নিজের দায়িত্ব অতিবাহিত করার চেষ্টা করেছি, এই বেডটা আপনাদের এই যুবককে দিয়ে দেওয়া উচিত, তার শিশুদের নিজের বাবাকে প্রয়োজন । "




ডাক্তাররা তাকে জানান, হসপিটালে ভর্তি না হলে হয়তো তিনি সুস্থ হতে পারবেন না, এমনকি জীবন সংশয় হতে পারে; কিন্তু এই স্বয়ংসেবক নিজের সিদ্ধান্তেই অটুট থাকেন, এবং পরিবারের সদস্যদের তার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তার মেয়ে কিছুটা সংকোচের সাথে এই সিদ্ধান্তে রাজি হন। দাভোড়কর কাকা সাথেসাথেই সম্মতি পত্রে সই করে দেন। সেখান থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়, আর এর তিনদিন পর দাভোড়কর কাকার মৃত্যু হয়।




করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে, চারপাশে নানা নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যে দাভোড়কর কাকার এই স্বার্থহীন ত্যাগ অনুপ্রেরণাদায়ক এবং দ্রষ্টব্য ।