ভোটের প্রাক্কালে উত্তপ্ত বর্ধমানের পালিতপুর, বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে আহত একাধিক, গ্ৰেপ্তার ১১




প্রতিনিধি সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-


বর্ধমানের পালিত পুরে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় দু'জন।এদিন সন্ধ্যায় পালিতপুর গ্রামে একটি হোটেলে ঝামেলা হয়। সেখান থেকেই সংঘর্ষের রূপ নেয় । ঘটনায় সেখ ডালিম এবং শেখ জাহাঙ্গীর নামে দুজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়।আহত ব্যক্তিদের ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের মাথায় চোট লেগেছে বলে জানা গেছে।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র, বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা সহ বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। 




এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি বা শাসকদল তৃণমূল দু পক্ষই নিজের বয়ানে যুক্তি সাজিয়েছে। দু দলের বয়ান দু রকম। এলাকার বাসিন্দা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক শেখ আনামত জানিয়েছেন, এলাকায় তাদের সমর্থক কানাই খাঁয়ের একটি হোটেলে শান্তনু খাঁয়ের নেতৃত্বে ভাঙচুর করা হয়। করা হয় লুঠপাট।পাশাপাশি এক মহিলাকে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে।এরপর তারা প্রতিবাদ করলে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সশস্ত্র বিজেপি সমর্থকেরা লাঠি নিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলে। তাদের আক্রমণে দুজন জখম হয়। 



আহত তৃণমূল সমর্থকের একজন সার কিনতে গিয়েছিল বলে দাবি করেন তার ভাই শেখ তারিফ ও শেখা জাহাঙ্গীর আলম। তাদের এই দাবির সাথে বর্ধমান ১ ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্যের দাবি বিজেপি এই এলাকায় বারবার হামলা চালাচ্ছে। তারা সশস্ত্র লোক এনে হামলা করেছে। ওরা মনে করছে ভোটে জিতেই গেছে। তাই মানুষের উপর আক্রমণ করছে। 




এই কথাগুলি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা বিজেপির সম্পাদক শ্যামল রায়। তার দাবি ঠিক উলটো। তিনি বলেন এটা তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের ব্যাপারই নয়। ওই হোটেলে মদ ও নেশার জিনিস বিক্রি হয়।এলাকার মানুষ বারবার আপত্তি করেছেন। আজ সেই কথা বলতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় কিছু লোক। যাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলা হচ্ছে তারা ওই গ্রামের লোকই নয়। বাইরে থেকে এসেছিল। তারাই গ্রামের মানুষের উপর চড়াও হলে ঘটনাটি ঘটে। তিনি জানান ওই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্ব আর নেই। বেশিরভাগ মানুষই বিজেপির অনুগামী। তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাসকদল। 



এর আগেও বারবার এই এলাকাটি রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে। আজকের ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।এই ঘটনায় ১১ জন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।