ভারতে নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের সন্ধান -উদ্বিগ্ন ইনসাকগ 




কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গত ২৫শে ডিসেম্বর জাতীয় স্তরে ১০টি নমুনা পরীক্ষাগারকে নিয়ে জেনোমিক্স বা জিনগত গঠন সংক্রান্ত ভারতীয় সার্স-কভ-২ সংগঠন ইনসাকগ গড়ে তোলা হয়। ইনসাকগ নামে এই সংগঠনটি গঠনের সময় থেকেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনগত গঠন ও এই ভাইরাসের সংবহন বিশ্লেষণ করে চলেছে।

ইনসাকগ কাজ শুরু করার সময় থেকেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পাঠানো ১০ হাজার ৭৮৭টি পজিটিভ নমুনার মধ্যে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে এমন ৭৭১টি পৃথক প্রজাতি চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের ৭৩৬টি নমুনা, দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া ৩৪টি নমুনা এবং ব্রাজিলে ছড়িয়ে পড়া ১টি নমুনা রয়েছে। সারা দেশে ১৮টি রাজ্যে এ ধরনের ভাইরাসের প্রজাতির প্রমাণ মিলেছে।
 
দেশে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা ও ভাইরাসের জিনগত গঠন বিশ্লেষণ করে দেখার পর এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, নতুন প্রজাতির এই ভাইরাসে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষা বিশ্লেষণের পর জানা গেছে ২০২০’র ডিসেম্বরের তুলনায় ই৪৮৪কিউ এবং এল ৪৫২আর মিউটেশনের সঙ্গে নমুনার ভগ্নাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের মিউটেশন রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল করে দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। তবে, ১৫-২০ শতাংশ নমুনার ক্ষেত্রেই এ ধরনের মিউটেশন পাওয়া গেছে।


কেরলের ১৪টি জেলা থেকে পাওয়া ২ হাজার ৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এর মধ্য থেকে ১২৩টি নমুনায় এন৪৪০কে প্রজাতির ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। এই প্রজাতির ভাইরাসও রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা হ্রাস করে রোগাক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ায়। 


উল্লেখ করা যেতে পারে, অন্ধ্রপ্রদেশেও ৩৩ শতাংশ নমুনা পরীক্ষায় এই প্রজাতির ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ আগেই মিলেছিল। তেলেঙ্গানাতে ১০৪টি নমুনার মধ্যে ৫৩টিতে এই প্রজাতির ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গেছে। 

ব্রিটেন, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া সহ ১৬টি দেশে নমুনা পরীক্ষায় এন৪৪০কে প্রজাতির ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। বর্তমানে নতুন এই প্রজাতির বিষয়ে আরও গবেষণা ও অনুসন্ধান চলছে।

Credit: Pib