থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সাইকেলে গোটা রাজ্য পরিক্রমায় নদীয়ার রকি মন্ডল, ছুঁয়ে গেলেন মেদিনীপুর শহর
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর
থ্যালাসেমিয়া রোধের বার্তা এবং রক্তদান আন্দোলন প্রসারের বার্তা দিতে সাইকেলে রাজ্য পরিক্রমায় বেরিয়েছেন নদীয়ার রকি মন্ডল। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ছুঁয়ে গেলেন মেদিনীপুর শহর। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে তাঁকে স্বাগত জানান মেদিনীপুরের রক্তদান আন্দোলনের কর্মী মুস্তাফিজুর রহমান, পার্থ প্রতিম মল্লিক,ফাকরুদ্দিন মল্লিক, কৌশিক কঁচ সহ অন্যান্যরা। পরে তিনি মেদিনীপুর ছেড়ে ঝাড়গ্রামের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেন।ব্লাড রুট অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে রকি মন্ডলের হাতে একটি সম্মাননা পত্র তুলে দেওয়া হয়।
এদিন মেদিনীপুর ঢোকার মুখে মোহনপুর দেশপ্রাণ সেতু থেকে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার পথে রাঙামাটি ফ্লাইওভার পর্যন্ত রকি মন্ডলের সঙ্গী হন মুস্তাফিজুর রহমান।লকডাউনের সময় রােজা ভেঙে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রােগীকে রক্ত দিয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন নদীয়া জেলার তেহট্ট এলাকার শ্যামনগরের বাসিন্দা রকি মণ্ডল।শুধু লকডাউনের সময়ে নয় তার আগেও রক্ত দিয়েছেন রকি মন্ডল।
বিভিন্ন সময় খবরের কাগজে পড়ে এবং অনেক সময় তিনি চোখের সামনে দেখেছেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রােগীরা রক্ত পেতে কত সমস্যায় পড়েন । তাই মানুষের মধ্যে রক্তদান এবং থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নদিয়া থেকে গোটা দক্ষিণবঙ্গ হয়ে রাজ্যের সব কটি জেলা পরিক্রমা করে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ের কালিম্পং পৌঁছানোর লক্ষ্যে সাইকেলে যাত্রা শুরু করছেন বছর সাতাশের এই যুবক।
নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগরের বাসিন্দা কলেজ উত্তীর্ণ এই যুবক বারাসত , কলকাতা , হাওড়া হয়ে সােমবার পৌঁছান হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার পাঁচলায়।উলুবেড়িয়ায় রাত কাটিয়ে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর ছুঁয়ে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে উপস্থিত হন। মেদিনীপুর থেকে তিনি ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মাসখানেকের এই থ্যালাসেমিয়া ও রক্তদান বিষয়ক সচেতনতামূলক যাত্রায় তাঁর সাইকেলের সামনে ও পিছনে কাগজের প্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, "বিয়ের আগে পরীক্ষা করালে রক্ত,সন্তান থাকবে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত" এবং আরও লেখা রয়েছে "নিজে রক্ত দিন অন্যকে রক্ত দিতে উৎসাহিত করুন"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊