এক দেশ -এক নির্বাচন অথচ পূর্ব বর্ধমানে খাবারের কুপন আর কোচবিহারে জুটলো জল আর চা - নির্বাচন কমিশনের দ্বিচারিতায় ক্ষোভে ফুঁসছে ভোট কর্মীরা

এক দেশ -এক নির্বাচন অথচ পূর্ব বর্ধমানে খাবারের কুপন আর কোচবিহারে জুটলো জল আর চা - নির্বাচন কমিশনের দ্বিচারিতায় ক্ষোভে ফুঁসছে ভোট কর্মীরা





আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ রাজ্যে ভোট কর্মীদের জন্য টানা প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকটি জেলায়(পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা) ট্রেনিং-এর মাঝে লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ অনেক জেলায় দীর্ঘসময়ের এই ট্রেনিংয়ে চা-বিস্কুট ছাড়া কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই। একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একই বিষয়ে ট্রেনিং-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা কেন? বরাদ্দ অর্থ যাচ্ছে কোথায়? কেন এই দ্বিচারিতা? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন-তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ।


শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানিয়েছেন "দু-তিন দিনের ট্রেনিং এবং ভোটের আগের দিন ভোর থেকে ভোটের দিন রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করার পর পরের দিন ভোরে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত যে সাম্মানিক বরাদ্দ করা হয় তা অত্যন্ত অসম্মানজনক। রেমুনারেশন ও ফুড অ্যালাউন্স-এর জন্য ২০১৪ সালের যে নির্দেশিকা (Vide memo no. 464/INST-PAY/2014-EPS, Dated - 28/02/2014) রয়েছে সেটাও সঠিক ভাবে কার্যকর করা হয় না। সে অর্থ কোথায় যাচ্ছে? বর্তমানে এই ভাতা আরো বৃদ্ধি হওয়া উচিত। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মানজনক ভাতা প্রদানের জন্য।"

তিনি আরও জানান- "আমাদের রাজ্যে ভোট কর্মী হিসাবে দায়িত্ব পালনের পরের দিন(ভোটের পরের দিন) ভোট কর্মীগণ অন ডিউটি পান না। অথচ গুজরাটে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় ভোটের পরের দিন অন ডিউটির নির্দেশিকা( (vide memo no. - 464/INST/2019/EPS , Dated- 17/04/2019 ) রয়েছে। আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে তা হবে না কেন? এর যথার্থ উত্তর দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।"



প্রসঙ্গত ভোট কর্মীদের যে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে সেখানে এক এক জেলায় এক এক ধরণের পরিষেবা কেন তা নিয়ে সন্দেহের তৈরি যেমন হয়েছে তেমনি প্রশ্ন উঠেছে এক দেশ -এক নির্বাচন অথচ পূর্ব বর্ধমানে খাবারের কুপন আর কোচবিহারে শুধু চা আর জলের ব্যবস্থা কেন? 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ