এবারের বাজেট ভারতের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
গতকাল লোকসভায় বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেই বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনে করছেন এর মাধ্যমে বিশ্ব সঙ্কটের এই সময়ে নতুন আস্থা গড়ে উঠবে। এ বছরের বাজেট বাস্তবতার অনুভব, উন্নয়নের প্রতি আস্থা এবং ভারতের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন বলেই মনে করছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বাজেট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এবারের বাজেট আত্মনির্ভরতার স্বপ্ন পূরণ করবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক এবং সমাজের সকল শ্রেণী যুক্ত হবেন। উন্নয়নের নতুন সুযোগ বৃদ্ধি; যুবক-যুবতীদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ, মানবসম্পদের নতুন দিক নির্ণয়; পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন নতুন ক্ষেত্রের উন্নয়নে সাহায্য করা এবারের বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, বিভিন্ন নিয়ম সরলীকরণ হয়েছে ফলে এই বাজেট সাধারণ মানুষের সহজ জীবন যাত্রাকে সাহায্য করবে। ব্যক্তি-বিশেষ, বিনিয়োগকারী শিল্প সংস্থা এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এই বাজেট ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি বাজেট উপস্থাপনার পরই বিভিন্ন মহল থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাজেটের আকার বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বাজেটে স্বচ্ছতার বিষয়টি প্রশংসা করায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা মহামারী অথবা আত্মনির্ভর ভারত অভিযান – বাজেটে অতিসক্রিয়তার কোনও লক্ষণ নেই। “আমরা সক্রিয়তার ঊর্ধ্বে উঠে একটি অতিসক্রিয় বাজেট উপস্থাপিত করেছি”।
বাজেটে সবক্ষেত্রের প্রতি উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন। সম্পদ এবং সুস্বাস্থ্য, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং পরিকাঠামো - প্রতিটি বিষয়েই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওপর অভূতপূর্ব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্যগুলি, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং লেহ্ ও লাদাখের উন্নয়নের চাহিদা এবারের বাজেটে স্থান পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমাদের উপকূলবর্তী রাজ্য, যেমন – তামিলনাডু, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গকে বাণিজ্যিক চালিকাশক্তিতে পরিণত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আসাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির ব্যবহার না হওয়া সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবারের বাজেট সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় যুবসম্প্রদায়ের পক্ষে এবারের বাজেট সহায়ক হবে। স্বাস্থ্য, স্বচ্ছতা, পুষ্টি, বিশুদ্ধ জল এবং সকলের প্রতি সমান সুযোগের ব্যবস্থা করায় সাধারণ মানুষ এর ফলে উপকৃত হবেন। একইভাবে, পদ্ধতিগত সংস্কার এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানোয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নয়নে সুবিধা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, কৃষি ক্ষেত্রের জন্য এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে বাজেটে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষকরা সহজে আরও বেশি ঋণ পাবেন। কৃষি পণ্য ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলির নিয়ন্ত্রণাধীন বাজার এবং কৃষি পরিকাঠামো তহবিলকে শক্তিশালী করার জন্য বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। “গ্রাম এবং আমাদের কৃষকরা যে এই বাজেটে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছেন, এর মাধ্যমে সেটি-ই প্রতিফলিত”।
কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগে দ্বিগুণ বরাদ্দের কথা উল্লেখ করেছেন। নতুন দশকের জন্য দৃঢ় ভিত্তি এবারের বাজেটের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারতের জন্য এই বাজেট সহায়ক হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এই খবরটি প আই বি থেকে নেওয়া
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊