আমাদের দেশের প্রতি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদানকে শ্রদ্ধা জানাতে হরিপুরায় আগামীকাল একটি অনুষ্ঠান, বেলা ১টায়: প্রধানমন্ত্রী




আগামীকাল তথা ২৩শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন। এবছর নেতাজি জয়ন্তী ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশ উন্মাদনা। দিনটিকে পরাক্রম দিবস ঘোষনা করেছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি বছরভর জন্মজয়ন্তী পালনের উদ‍্যোগ নিয়েছে, গঠিত হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও। আগামীকাল কলকাতায় একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এর পাশাপাশি গুজরাতের হরিপুরায় নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে একটি অনুষ্ঠান। 


নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে হরিপুরার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৩৮-এ ঐতিহাসিক হরিপুরা অধিবেশনে নেতাজী কংগ্রেস দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। দেশের প্রতি নেতাজীর অবদানকে শ্রদ্ধা জানাতে হরিপুরায় আগামীকাল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশজুড়ে যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হবে গুজরাটের হরিপুরায় বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সকলকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে সময় বেলা ১টা বলেও জানান তিনি। 


ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “ আগামীকাল, মহান নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে দেশ #ParakramDivas উদযাপন করবে। দেশজুড়ে যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হবে গুজরাটের হরিপুরায়। বেলা ১টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে, আপনারা এই আয়োজনে যোগ দিন।"


পাশাপাশি তিনি আরো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, "নেতাজীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমার ২০০৯ সালের ২৩শে জানুয়ারীর কথা মনে পড়ছে, সেই দিন আমরা হরিপুরা থেকে ই-গ্রাম বিশ্বগ্রাম প্রকল্পের সূচনা করেছিলাম। এই উদ্যোগের ফলে গুজরাটের তথ্য প্রযুক্তি পরিকাঠামোয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিল। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র মানুষ প্রযুক্তির সুফল পেয়েছিলেন।"


তিনি আরো লেখেন, "হরিপুরার মানুষের ভালবাসার কথা আমি কোনদিন ভুলতে পারব না। যে রাস্তা দিয়ে নেতাজী পদযাত্রা করেছিলেন, তাঁরা সেই একই রাস্তা দিয়ে আমাকে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে গিয়েছিলেন। নেতাজীর শোভাযাত্রায় ৫১টি বৃষ একটি সুসজ্জিত রথকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। হরিপুরায় যে জায়গায় নেতাজী ছিলেন, সেই জায়গাতেও আমি গিয়েছিলাম।


নেতাজীর ভাবনা ও আদর্শ আমাদের এমন এক ভারত গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করুক, যে ভারতের জন্য তিনি গর্বিত ছিলেন… এক শক্তিশালী, প্রত্যয়ী ও আত্মনির্ভর ভারত , যার মানব-কেন্দ্রীক উদ্যোগ আগামী দিনে সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।“