বছরের শুরুতেই মেদিনীপুরে শুরু হলো তিনদিনের 'বাংলা মোদের গর্ব' অনুষ্ঠান



বছরের শুরুতেই মেদিনীপুরে শুরু হলো তিনদিনের "বাংলা মোদের গর্ব" অনুষ্ঠান



নিজস্ব সংবাদদাতা, শচীন পাল:- 

 ২০২১ এর শুরুতেই "বাংলা মোদের গর্ব" শীর্ষক অনুষ্ঠানের সূচনা হলো মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট ময়দানে। নতুন বছরের শুরুতেই শীতের আমেজকে সাথে নিয়ে বিগত বছর গুলির মতো পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার সাথে তাল মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর মেদিনীপুরেও তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে শুরু হলো "বাংলা মোদের গর্ব" শীর্ষক অনুষ্ঠান। তিনদিনের এই অনুষ্ঠান চলবে ৩ রা জানুয়ারি রবিবার পর্যন্ত। 



এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, বিধায়ক দীনেন রায়, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো, পরেশ মুর্মু,জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিং হাজরা, সহসভাধিপতি অজিত মাইতিসহ জেলার অন্যান্য বিধায়কগণ ও কর্মাধক্ষ্যগণ। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সভাধিপতি উত্তরা সিং হাজরা। এদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী শুভদীপ বসু।


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার জানান, তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে থাকছে স্বসহায়ক দলগুলির তৈরি দ্রব্য সামগ্রীর প্রদর্শনী, হস্তশিল্পের প্রদর্শনী, পুষ্প প্রদর্শনী,পর্যটন বিষয়ক প্রদর্শনী,রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপর প্রদর্শনী এবং "উন্নয়নের পথে মানুষের সাথে" শীর্ষক প্রদর্শনী। 



পাশাপাশি অনন্যা মজুমদার আরো জানান,মূল সাংস্কৃতিক মঞ্চে থাকছে তিনদিন ব্যাপী স্থানীয় শিল্পী,লোকপ্রসার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত শিল্পী এবং কোলকাতা থেকে আগত বিশিষ্ট শিল্পীদের অনুষ্ঠান। মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট ময়দানে তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে শুক্রবার অংশ নেন কোলকাতার শিল্পী সহজ মা ও অরিজিৎ চক্রবর্তী। শনিবার কোলকাতার শিল্পী সৌমিত্র রায় ও অস্মিতা করের অনুষ্ঠান রয়েছে। রবিবার রয়েছে কোলকাতার শিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও কোলকাতার পরিবর্তন ব্যান্ডের অনুষ্ঠান । পাশাপাশি জেলার লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীদের অংশগ্রহণে তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে ঝুমুর গান,ছৌ নৃত্য,পাইক নৃত্য,রায়বেশে নৃত্য, সাঁওতালি নৃত্য। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন জেলার শিল্পীরা এবং জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা।থাকছে স্থানীয় আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন স্থানীয় ব্যান্ড গুলির শিল্পীরাও।কিছু একক অনুষ্ঠান যেমন রয়েছে তেমনি সমবেত অনুষ্ঠানও থাকছে। 



কোভিড সংক্রান্ত বিধি মেনেই তিন দিনের অনুষ্ঠান হবে।এই অনুষ্ঠানের প্রচারে শহরের বিভিন্ন এলাকায় যেমন হোডিং দেওয়া হয়েছে , তেমনি হ্যান্ডবিল বিলি ও মাইক প্রচারের মাধ্যমে জণগনের কাছে এই অনুষ্ঠানের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ