অভিবাসী শিশুদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে নির্দেশিকা  জারি


 

করোনার আঘাতে বন্ধ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না- যদিও অনলাইনে পড়াশুনা সচল রাখার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র-তবু সবার কাছে পৌছাচ্ছে না। এর উপর যারা অভিবাসী শিশু, তাদের পড়াশুনার ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে সমস্যা। 

তাই বর্তমান কোভিড জনিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কেন্দ্র খোলার বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করতে শিক্ষা মন্ত্রক উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অভিবাসী শিশুদের পরিচিতি, ভর্তি এবং ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।


নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- 

  • বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিক্ষার্থী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া।
  • রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালানো।
  • শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভে 'প্রবেশ উৎসব' বা 'স্কুল চলো অভিযান' প্রভৃতি গ্রহণের পরামর্শ।
  • এর পাশাপাশি মাস্ক পরা, ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য সচেতনতা গড়ে তোলা।
  • বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালিন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দেওয়া ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এ বিষয়ে মনোদর্শন ওয়েব পোর্টাল ও টেলি কাউন্সেলিং এরও সুযোগ নেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি পড়াশোনার সামগ্রীও দেওয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিস্তার বাড়াতে প্রয়োজনে বেতার ও টেলিভিশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃত্তি সময়মতো দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
  • বিদ্যালয় পুনরায় খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা। কোনো শিক্ষার্থী যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুলছুট না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা। বিদ্যালয় চালুর পর ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পুনরায় প্রস্তুতি নিতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা।
  • শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি। এ বিষয়ে নিষ্ঠা- অনলাইন ট্রেনিং মডিউলসটি কার্যকর ভুমিকা নিয়েছে। দীক্ষা- পোর্টালেরও খুব শীঘ্রই সূচনা হবে। এন সি ই আর টি-এর পক্ষ থেকে একটি বিকল্প শিক্ষা কার্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে।
credit:pib